খেলাধুলা সর্বশেষ

মরক্কোর রূপকথা মুছে দ্বিতীয় বার ফাইনালে ফ্রান্স

উড়ছেন এমবাপে, উড়ছে ফ্রান্স। আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। সেমিফাইনালে দারুণ জমজমাট লড়াই শেষে আফ্রিকার সিংহ মরক্কোকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ফ্রান্স।

২০১৮ বিশ্বকাপ যেখান থেকে শুরু করেছিল সেখান থেকেই যেন এই বিশ্বকাপ শুরু করেন এমবাপেরা। দুর্দান্ত খেলেই আবারও বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো ফ্রান্স। অথচ পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়ে খেলেছে মরক্কো।

অন্যদিকে বল দখলে খানিকটা পিছিয়ে ছিল ফরাসি ফুটবলাররা। পুরো ম্যাচের ৩৮ শতাংশ সময় নিজেদের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে পারে চ্যাম্পিয়ন দলটি। আর মরক্কোর গোলবারে শট নিয়েছে তিনটি। গোল পেয়েছে মোট দুটি।

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলতে নেমে থিও হার্নান্দেজের বা পায়ের দারুণশটে ম্যাচের পঞ্চম মিনিটের মাথায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষ ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করে মরক্কো।

গোল হজম করা মরক্কো ১১তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে উনাহির নেয়া দুর্দান্ত শট রুখে দেন ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক হুগো লরিস। ১৮তম মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়েও দলকে সমতায় ফেরাতে পারেননি জিয়েচ৷

আর ৪১তম মিনিটে গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে ভারানের ডান পায়ের শট আবারো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এল ইয়ামিকের নেয়া বাই-সাইকেল কিক গোলবারে লাগলে গোল পায়নি আফ্রিকান দলটি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোল ব্যবধানেই।

এগিয়ে ফ্রান্স, লড়ে যাচ্ছে মরক্কো। আক্রমণের পর আক্রমণে ফরাসি ডিফেন্সের পরীক্ষা নিচ্ছেন হাকিমিরা। তবে নিখুঁত ফিনিশারের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছে না দলটি। অন্যদিকে সুযোগ পেলেই ফ্রান্স আক্রমণে যাচ্ছে। বিরতির পর দুটি শট নিয়েছে মরক্কো, এ ছাড়া বেশ কয়েকবার ফরাসি ডিফেন্সে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে এসেছে।

৭৯ মিনিটে জিরুদের পরিবর্তে মাঠে নামেন মুয়ানি। নামার পর ৪৪ সেকেন্ডে না যেতেই তার গোলে,ব্যবধান বাড়ালো ফ্রান্স। ডি বক্সের ডান দিকে বল পেয়েই প্রথম স্পর্শেই গোল করেন মুয়ানি। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে গোলটি দ্বিতীয় দ্রুততম। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে একটি গোল হয়েছিল মাত্র ২৬ সেকেন্ডে।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মরক্কো। ৯২ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর উনাহির শট চলে যায় গোলবারের ওপর দিয়ে। শেষদিকে আরও কয়েকবার ফ্রান্স আক্রমণভাগে বল নিয়ে ঢুকলেও ফিনিশিংটাই করতে পারেনি ফ্রান্স। ফলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই রূপকথা শেষ করতে হলো মরক্কোকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *