বিনোদন

নিজেকে আর কারো স্ত্রী হিসেবে দেখতে পারছিলাম না আমি

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আশিষ বিদ্যার্থী। ২০০১ সালে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার কন্যা রাজশী বড়ুয়াকে বিয়ে করেন আশিষ। এ সংসারে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। কিন্তু গত বছরের শেষে ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই দম্পতি। যদিও তা গোপন ছিল।

গত ২৫ মে হঠাৎ দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন ৬০ বছর বয়সী আশিষ। জীবনের এ পর্যায়ে বিয়ে করায় বিষয়টি বহুল চর্চায় পরিণত হয়। তারপর প্রশ্ন উঠে রাজশী-আশিষের বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম গুঞ্জন উড়লেও বিচ্ছেদের সঠিক কারণ জানাননি আশিষ কিংবা রাজশী। অবশেষে বিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করলেন রাজশী ওরফে পিলু।

টাইমস অব ইন্ডিয়া-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়েবিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী পিলু। এসময় তিনি জানান, নির্দিষ্ট কোনো কারণে তাদের বিয়েবিচ্ছেদ ঘটেনি। বরং সময়ের সঙ্গে তাদের পথ দুটো আলাদা হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে তাদের পছন্দগুলোও পরিবর্তন হয়ে যায়।

পিলু বলেন— ‘মানুষ এসব কথা বিশ্বাস করতে চায় না। বরং তারা প্রশ্ন করেন এটা কীভাবে ঘটতে পারে? এটি ঠিক যে, আমাদের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছিল। আমি বলতে পারিনি এটা আমার পছন্দ। একদিন দেখি, আমার সেই পছন্দও বদলে গেছে! সত্যি বলছি, দেড় বছর ধরে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা আমরা করেছিলাম। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’

আশিষের সঙ্গে পিলুর এমন কোনো শত্রুতা বা দ্বন্দ্ব ছিল না, যার জন্য বিয়েবিচ্ছেদ হয়েছে। তা উল্লেখ করে পিলু বলেন, ‘আমি নিজেকে আর মেনে নিতে পারছিলাম না। নিজেকে কারো স্ত্রী হিসেবে দেখতে পারছিলাম না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *