বিনোদন

কি কারণে ভেঙে গেল এশা দেওলের ১১ বছরের সংসার

বরেণ্য তারকা দম্পতি হেমা মালিনি ও ধর্মেন্দ্রর কন্যা এশা দেওল। ব্যক্তিগত জীবনে ভরত তাখতানির সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। গতকাল ১১ বছরের সংসার ভাঙার ঘোষণা দেন এই দম্পতি।

ভারতীয় গণমাধ্যম দিল্লি টাইমসকে যৌথ একটি বিবৃতি পাঠিয়ে বিচ্ছেদের কথা জানান এশা ও ভরত। কিন্তু কী কারণে সংসার ভেঙেছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেননি। তবে ভরতের পরকীয়া প্রেম সংসার ভাঙার হেতু বলে নেটিজেনদের দাবি। এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ অন্য ইঙ্গিত দিয়েছে।

এশা-ভরত দম্পতির দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলো— রাধ্যা ও মিরায়া। সংসার সামলেও এশা ‘আম্মা মিয়া: স্টোরিজ, অ্যাডভাইস অ্যান্ড রেসিপিস’ শিরোনামে একটি বই লেখেন। এ বইয়ের কিছু বয়ান ভরতের সঙ্গে এশার দূরত্ব ও সংসার ভাঙার ইঙ্গিত করেছে!

বইটিতে এশা লেখেন, ‘আমার দ্বিতীয় সন্তান জন্মের অল্প কিছু দিন পর লক্ষ্য করি, ভরত আমার সঙ্গে খামখেয়ালি আচরণ করছে, যেন সে বিরক্ত। আসলে ও অনুভব করেছিল, আমি তার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিচ্ছি না। একজন স্বামীর পক্ষে এরকম অনুভব করাটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ সেই সময়, আমি রাধ্যার প্লেস্কুল এবং মিরায়াকে খাওয়ানো নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। সঙ্গে চলছিল আমার বই লেখা ও আমার প্রযোজনা সংস্থার একাধিক মিটিং।’

ভরতের সঙ্গে তার দূরত্বের সংকট বুঝতে পারেন এশা। তা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমি ধীরে ধীরে নিজের ত্রুটি বুঝতে পারি। আমার কাছে ভরত একটা নতুন ব্রাশ চেয়েছিল আর সেটা আমার মাথা থেকেই বেরিয়ে যায়, কখনো আবার ওর জামা আয়রন করা হয়নি তো কখনো খাবার ছাড়াই অফিসে চলে গেছে, আমি খেয়ালও করিনি। যদিও এগুলোকে খুব তাড়াতাড়ি শুধরে নিয়েছিলাম।’

 

‘ভরত এমন একজন মানুষ যার প্রয়োজন খুব কম। তারপরও যদি তার দেখাশোনা না করতে পারি তবে কিছু ভুল ছিল। এই সমস্যা খুব দ্রুত সংশোধন করেছিলাম। ভরত একদম আলাদা একজন মানুষ। যদি কোনো সমস্যা অনুভব করে তবে সে আমাকে সরাসরি মুখের উপরে বলে। রোমান্টিকতা বাঁচিয়ে রাখা আপনার দায়িত্ব। আমি ভেবে দেখি, বহুদিন ভরতের সঙ্গে ডেট নাইট বা সিনেমা দেখতে বাইরে যাই না। তাই আমি আমার ট্র্যাক থেকে বেরিয়ে, এক ছুটির দিনে সুন্দর পোশাক পরে তার সঙ্গে বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ লেখেন এশা।

এশা ও ভরত তাখতানি দুজনেই ছোটবেলার বন্ধু। যদিও দুজনের ক্যারিয়ার আলাদা। ভরত তার বাবার পথ ধরে ব্যবসা করছেন। এশা তো বলিউডে পুরোদস্তুর নায়িকা। স্কুলবন্ধুর সঙ্গে অনেক দিনই দেখা-সাক্ষাৎ ছিল না এশার। ‘টেল মি ও খুদা’ সিনেমা তৈরির সময় দেখা হয় পুরোনো এ দুই বন্ধুর। এরপর প্রেম, বিয়ে। ২০১২ সালের ২৯ জুন বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। এ দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *