ওরা দেশ ছেড়ে ঝাকে ঝাকে বিদেশ চলে যেতে চায়!
এমন শিরোনাম নিয়ে আগেও বলেছি, বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা যে শুধু পড়াশোনা করার জন্যই বিদেশে যায় সে ধারণা অনেকটাই ভুল যখন শিক্ষার্থীরা ভর্তি ও ভিসা নিশ্চিত করেও পড়াশুনাটা শেষ করে না।
সাধারণর আগে বিদেশে পড়তে যাওয়া ছিলো উচ্চবিত্ত পরিবারের নিত্য শখ আর এখন সেটা মধ্যবিত্তের আকাঙ্ক্ষা কিংবা সপ্ন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিদেশি কারিকুলামের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, যে যেখানেই পড়ছে না কেনো তাদের কাছে চাকুরীরা হয় গেছে যেনো পুরোটাই স্ট্রাগল। স্ট্রাগল কেনোই বা হবে না কারন অনিরাপদ ভবিষ্যৎ আর মানুষিক অশান্তি এর পেছনে ঘুড়তে ঘুড়তেই বয়সটা হারিয়ে যায়। এখন তো বাপ দাদার সম্পদও ধরে রাখা দায় হয়ে দাড়িয়েছে।
অথচ বিদেশে একজন শিক্ষার্থী যতোটুকু শ্রম সময় মেধা খাটাচ্ছে তার প্রতিটা সময়ের যথাযথ মূল্য সাথে সাথে পেয়ে যাচ্ছে। আর দিন শেষে একটা PR সারা জীবনের জন্য নিরাপদ ও দুশ্চিন্তাহীন জীবন কাটাতে সাহায্য করে। আমরা তো পার হয়ে গেছি বোধহয় কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ যারা আসছে কিংবা আসবে তাদের জন্য কি এই দেশে কিছু রেখে যাওয়া সম্ভব কিংবা তাদের জন্য কি এই দেশে থেকে যাওয়া নিরাপদ ! উত্তরটা হয়তো জানেন,তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি অনেককেই দেখেছি মধ্য বয়সে এসে পড়াশুনা করার একটা উছিলা দিয়ে হলেও বিদেশে ঢুকতে চায় আর অনেকেই বলে ওঠে ” আমি শুধু এই দেশ থেকে পালাতে চাই “।
– রাকিব হাসান
সিইও, লিডবার্গ এডুকেশন।