খেলাধুলা

এবার সিলেটের সাথেও জিততে পারলো না ঢাকা

দিনের ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেড়শ রান তাড়া করতে নেমে হেরেছিল খুলনা টাইগার্স। মিরপুরের উইকেটের চরিত্র বদলায়নি রাতের ম্যাচেও। লো পিচে বেশ ভুগেছেন ব্যাটাররা। দুর্দান্ত ঢাকা দারুণ শুরুর পরও বড় সংগ্রহ পায়নি। সেই ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ঘাম ঝড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। শেষ পর্যন্ত বেনি হাওয়েল ও রায়ান বার্লের ব্যাটে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে সিলেট। এটি ঢাকার টানা ষষ্ঠ হার।

আজ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা। জবাবে ১৯ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে সিলেট।

১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি সিলেট। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন সামিত প্যাটেল। শরিফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাদে পড়ে ডাক খেয়েছেন এই ওপেনার। নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট পেয়েছেন শরিফুল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এই বাঁহাতি পেসারের শিকার হয়েছেন হ্যারি ট্যাক্টর।

সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসানও। এই টপ অর্ডার ব্যাটার ৯ বলে করেছেন ৮ রান। ৪১ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক। ১২ বলে ১৭ রান করেছেন তিনি।

শান্ত উইকেটে থিতু হয়ে আরও একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ৩৩ রান। ৭৪ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে শান্ত সাজঘরে ফিরলে সিলেটের জয় নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। তবে শঙ্কার সেই মেঘ উড়ে গেছে বার্ল-হাওয়েলের ব্যাটে। হাওয়েলের অপরাজিত ৩০ ও বার্লের অপরাজিত ২৯ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সিলেট।

এর আগে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথমেই সাব্বির হোসেনকে হারায় ঢাকা। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেন সাইফ হাসান ও নাঈম শেখ। ২৯ বলে ৩৬ রান করেন নাঈম। আর সাইফের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ বলে ৪১ রান।

তবে এই দুই ব্যাটার সাজঘরে ফেরার পর আর কেউই দাঁড়াতেই পারেননি। ফলে বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি ঢাকার। সিলেটের হয়ে ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন রেজাউর রহমান রাজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *