খেলাধুলা

আলভারেজের জোড়া গোলে জয় পেল ম্যানসিটি

ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষকে চেপে ধরলেও প্রথমার্ধে জালের দেখা পায়নি ম্যানচেস্টার সিটি। বিরতির ঠিক আগে খেলার ধারার বিপরীতে গোলও হজম করে বসে সিটিজেনরা। সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজের জোড়া গোলে সারভেনা জভেজদাকে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুম শুরু করল গত আসরের ট্রেবলজয়ীরা।

 

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে সার্বিয়ার ক্লাব সারভেনা জভেজদাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানসিটি। ওসমান বুকারির গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। এরপর নিজেই সমতায় ফেরানোর পর সিটিজেনদের লিড এনে দেন আলভারেজ। এরপর ব্যবধান বাড়ান রদ্রি। এতে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়ে নতুন মৌসুমের মিশন শুরু করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

দুই দলের শক্তির ব্যবধানে বিস্তর ফারাক। মাঠেও তা খুব ভালোভাবেই ফুটে ওঠে। ম্যাচের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় কতখানি আধিপত্য বিস্তার করেছিল ম্যান সিটি। পুরো ম্যাচে ৭৬ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ৩৭টি শট নিয়েছিল হলান্ড-আলভারেজরা, যার মধ্যে ১৬টি শট ছিল গোলের লক্ষ্যে।

কিন্তু প্রতিপক্ষের ইসরায়েলি গোলরক্ষক ওমরি গ্লেজার নিজের সেরাটা নিংড়ে দেন। যদিও তার হিসাবের গড়বড়ে একটি গোল হজম করে জভেজদা। তবে তার নৈপুণ্যকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে বিশাল ব্যবধানে জিততে পারত স্বাগতিকরা। একে একে মোট ১৩টি সেভ করেন গ্লেজার।

প্রথমার্ধে বিস্ময় জাগিয়ে গোলের উল্লাসে মাতে সফরকারীরা! ৪৫তম মিনিটে মিরকো ইভানিচের পাসে লক্ষ্যভেদ করেন বুকারি। গোলমুখে এটাই ছিল জভেজদার প্রথম শট। শুরুতে অবশ্য অফসাইডের নির্দেশ করেন সহকারী রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে পাল্টে যায় ওই সিদ্ধান্ত।

এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও পিছিয়ে পড়ার পর হতাশা নিয়ে বিরতিতে যায় ম্যান সিটি। দুটি সুযোগ নষ্ট হয় নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডের দ্বারা। এর মধ্যে তার একটি প্রচেষ্টা বাধা পায় ক্রসবারে। আলভারেজ আর ফিল ফোডেনও ভালো কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি।

 

দ্বিতীয়ার্ধেও একই ধাঁচে খেলতে থাকা সিটি হয়ে ওঠে ক্ষুরধার। ফের খেলা শুরুর পর দ্বিতীয় মিনিটেই স্কোরলাইন ১-১ করেন আলভারেজ। হলান্ডের পাসে বাইলাইনের কাছ থেকে ডান পায়ের কোণাকুণি শটে নিশানা ভেদ করেন তিনি। পাঁচ মিনিট পর ইংলিশ ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার বল জালে পাঠালেও তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়।

 

৬০তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আলভারেজ। তার ফ্রি-কিক পাঞ্চ করার চেষ্টায় বলে ঠিকমতো হাত ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন গ্লেজার। অথচ দুর্দান্ত কিছু শট আটকে দেওয়া গোলরক্ষকের জন্য সেটা নিতান্ত সাধারণ একটি সেভ হওয়ার কথা ছিল।

 

৭৩তম মিনিটে গার্দিওলার দল আরামদায়ক অবস্থানে পৌঁছে যায় স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রির কল্যাণে। ইংলিশ মিডফিল্ডার ফোডেনের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণদেয়ালের ফাঁক গলে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান। বাকি সময়ে গোল হওয়ার মতো আর কোনো বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

 

‘জি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের ইয়াং বয়েজকে তাদের মাঠেই ৩-১ গোলে হারিয়েছে জার্মানির ক্লাব আরবি লাইপজিগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *