আর্জেন্টিনার প্রিমেরা ডিভিশনের ক্লাব ভেলেজ সার্সফিল্ডের ফুটবলারদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে ক্লাবটির অন্তত পাঁচজন খেলোয়াড় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। গত রোববার (৩০ জুলাই) বুয়েনস আইরেস প্রদেশের ইতুজাইঙ্গোতে স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে ফুটবলাররা বাড়িতে ফেরার পথে তাদের ওপর এই হামলা হয়।
এদিন সার্সফিল্ডের হয়ে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন উরুগুয়ের তারকা ফুটবলার ডিয়েগো গডিন। তবে উরকানের বিপক্ষে ম্যাচে তার দল হেরে গেছে। ওই ম্যাচের পর গডিন ঠিকঠাক বাড়ি যেতে পারলেও তার সতীর্থদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। বাড়ি ফিরতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। জানা গেছে, নিজ দলের সমর্থকেরাই তাদের ওপর আক্রমণ করেছে।
আর্জেন্টিনার ফুটবলের সবচেয়ে মূল্যবান সম্ভাবনাময়দের একজন জিয়ানলুকা প্রেস্তিয়ান্নি। দেশটিতে কথিত আছে যে, ইউরোপীয় ফুটবলের বেশ কয়েকটি ক্লাবের কাছ থেকে অফার পেয়েছিলেন তিনি। ঘটনার পরে টুইট করেছিলেন সার্সফিল্ডের তরুণ এই স্ট্রাইকার, যদিও তিনি পরে এটি মুছে ফেলেছিলেন।
টুইটে প্রেস্টিয়ান্নি বলেন, ‘এভাবেই জিনিসগুলি হয়, এইগুলি বারাস। তারা বাচ্চাদের উপর হামলা করে।’ ভেলেজের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিকদের মতে, ১৭ বছর বয়সী তরুণ এই তারকা এখন ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনকে প্রেস্তিয়ান্নি বলেন, খেলা শেষে গাড়ি নিয়ে মাঠ থেকে বের হতেই ‘ব্রাভা ব্রাভা’ সমর্থকগোষ্ঠীর কয়েকটি গাড়ি আমাদের সামনে চলে এল। তারা আমার জ্যাকেট ধরে মুখে দুবার আঘাত করে। খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম
শুধু মারধরই না, সার্সফিল্ডের খেলোয়াড়দের গুলি করার হুমকিও দিয়েছিল আক্রমণকারীরা। যে খেলোয়াড়কে গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়, তার নাম লিওনার্দো হারা। প্রেস্তিয়ান্নি জানান, আক্রমণকারীরা পিছু নিতে পারেন, এই ভয়ে কেউ আর বাড়ি যেতে চাইছিল না। ওরা তো আমাদের একজনকে এটাও বলল, ‘গাড়ি থেকে বের হও, নইলে পায়ে দুটি গুলি করব।’