১৩তম জাতীয় স্নাতক (অনার্স) গণিত অলিম্পিয়াডের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগ। প্রতিযোগিতায় সেরা দশে বেরোবির ৬ জন ও হাবিপ্রবির ৪ জন শিক্ষার্থী স্থান পেয়েছে।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে হাবিপ্রবির গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মিনার হোসেন। এছাড়া দ্বিতীয় স্থান করে আমিনুল ইসলাম এবং ৩য় স্থান অধিকার করেন একই প্রতিষ্ঠানের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী তবিবুর রহমান। বেরোবির জয়ী ৬জন শিক্ষার্থীদের হলেন- গণিত বিভাগের আসাদুজ্জামান লিমন ,উম্মে বুশরা, প্রান্ত মোল্লা, সাদিয়া আফরিন, ফরিদুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মইনুদ্দিন ভূঁইয়া।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একাডেমিক ভবন-২ এর গণিত বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অলিম্পিয়াডের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সাড়ে ১২ টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে একটি র্যালি বের করেন। র্যালিটি একাডেমিক ভবন দুই থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে একাডেমিক ভবন-২ এ আবার ফিরে আসে। এরপর দুপুর ৩ টায় সমাপনী সেশনে গণিত বিষয়ক প্রশ্নোত্তর পর্বের তাৎক্ষণিক জবাব দেন দেশবরেণ্য গণিতজ্ঞ ব্যক্তিত্ব।
জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড ২০২২ এর বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রথমত শিক্ষার্থীদের গণিতভীতি দূর করা ,দ্বিতীয়ত পিওর সায়েন্সকে প্রমোট করা যাতে করে আমরা জাতিগতভাবে এগিয়ে যেতে পারি এবং দেশের উন্নতি হয় ।কারণ যেকোনো টেকনোলজি পিওর সায়েন্সের উপর প্রতিষ্ঠিত। এসব উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ গণিত সমিতির উদ্যোগে, দেশব্যাপী স্নাতক পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই অলিম্পিয়াডের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সারা দেশে যাদের ট্যালেন্ট আছে, যারা জানতে চায়, বুঝতে চায়, তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া।
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়া বলেন, ‘গণিতের প্রতি শিক্ষার্থীদের ভীতি দূর করাসহ গণিতের উৎকর্ষ সাধনের নিমিত্তে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুপ্ত মেধা-বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে, বিভিন্ন অঞ্চলের অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা গাণিতিক দক্ষতা ও বিশ্লেষণের পারঙ্গমতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন। এতে গণিতের ছাত্র ছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রকৌশলী ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন এবং মেধার স্বাক্ষর রাখছেন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট তুলে দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. কল্যাণ কুমার দে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের গণিত বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বেরোবির গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক মো. হান্নান মিয়া প্রমূখ।