বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় বলা হয় সাকিব আল হাসানকে। লাল সবুজ জার্সিতে দেশের হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে লম্বা সময় ধরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এবার সেই সাকিবই কিনা ক্রিকেট ছেড়ে এবার চাকরিতে যোগ দিলেন!
বুধবার (৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এসে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে শুধুমাত্র একদিনের জন্য এই দায়িত্ব নিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী তারকা এই ক্রিকেটার।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে কথা বলেন এই সময়ে।
সাকিবের কথায় স্পষ্ট বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল পুরোপুরি ব্যর্থ। বাংলাদেশের সেরা ওপেনার স্পষ্ট করেই বলেছেন, দায়িত্ব পেলে ২-১ মাসের মধ্যেই বিপিএল-এর সবকিছু বদলে দেবেন তিনি।
২০১২ সালে বিপিএল মাঠে গড়ানোর পর ব্যাপক আলোড়ন হয়েছিল। দলের নিলাম, খেলোয়াড় নিলাম থেকে শুরু করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাক লাগিয়ে দেয় বিসিবি ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিপিএল বর্ণহীন হয়ে পড়ে। এবার তো আরও হ-য-ব-র-ল অবস্থা। আধুনিক ক্রিকেট ডিআরএস ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। অথচ গতবারের মতো এবারও বিপিএল শুরুই হচ্ছে ডিআরএস ছাড়া। এমনকি বিপিএলের ১১তম আসরের স্পন্সরও এখন পর্যন্ত পায়নি আয়োজকরা। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোও পেশাদারিত্ব আনতে পারেনি। ২-১ টি ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনও অনুশীলন জার্সিরও যোগান দিতে পারেনি।
সাকিব বলেছেন, ‘বিপিএলের সিইও হলে আমার বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা এক থেকে দুই মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে। দুই মাসও লাগার কথা না, দুই মাস অনেক দূরের কথা বলছি। পুরো সবকিছু বাদ দিয়ে নতুন করে আবার ড্রাফট হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে। আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে।’