স্পেনর সাথে ম্যাচটি জার্মানির জন্য ছিল বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই শঙ্কা শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ার। প্রথমে গোল খেয়ে সে আশঙ্কা চোখও রাঙাচ্ছিল। অবশেষে ম্যাচের শেষদিকে জার্মানদের বাঁচিয়ে দেন নিকোলাস ফুলক্রুগ। তার গোলে স্পেনের সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে জার্মানি। এ ড্রয়ে টিকে রইলো জার্মানদের শেষ ষোলোর আশা।
প্রথমার্ধে মাত্র ৭ মিনিটের মাথায় সুযোগ পায় স্পেন৷ কিন্তু দানি ওলমোর দুর্দান্ত শট নুয়্যারের হাত ছুঁয়ে বারে লাগলে গোল বঞ্চিত হয় স্পেন।
২৩ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় স্পেন। এবার জর্দি আলবার ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। জার্মানি সুযোগ পায় এর দুই মিনিট পর। ২৫ মিনিটে গ্যানাব্রির শট গোলবারের অনেক দূর দিয়ে চলে যায়৷
৪১ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে উত্তেজনাকর মুহূর্ত আসে এন্টনিও রুডিগারের কল্যাণে। ফ্রি কিক থেকে বাড়ানো বলে রুডিগার গোল করলে রেফারি ভিএআর এর কল্যাণে অফসাইডের সিদ্ধান্ত দেয় ফলে গোলবঞ্চিত হয় জার্মানি। ম্যাচের শেষ দিকে স্পেন কিছু চেষ্টা করলেও তা জার্মান রক্ষণভাগে প্রতিহত হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল
৫৬ মিনিটে সতীর্থ তোরোসের পরিবর্তে মাঠে নামেন মোরাতা। মিনিট ছয়ের মধ্যেই নিজের ছাপ রাখেন সবুজের গালিচায়। আল বায়িত স্টেডিয়ামের ভরা গ্যালারি উন্মাদনায় মাতিয়ে তোলেন এই ফরোয়ার্ড। বামপ্রান্ত থেকে জর্দি আলভার ক্রস থেকে ডি বক্সের ভেতরে আলতো টোকায় বল জার্মানির জালে পাঠান। নুয়্যার জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত মেলে ধরেছিলেন। কিন্তু বলের নাগাল পাননি।
গোল শোধে শেষের দিকে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় জার্মানি। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরায় জার্মানি। একার কৃতিত্বে স্পেনের ডিফেন্সকে ঘোল খাইয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়লেন মুসিয়ালা। তার থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফুলক্রুগ।