২০০৮ থেকে ২০১২; টিকিটাকাময় সময়টা কী দুর্দান্তই না ছিলে স্পেনের। ২০০৮ তারা সালে ইউরো জয়, ঠিক দুই বছর পর ২০১০ বিশ্বকাপ জয়। পরের গল্পটা অবশ্য শুধুই হতাশার। অবশেষে টিকিটাকার শক্তি দেখলো লুইস এনরিকের স্পেন। কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল উৎসব করেছেন অসেন্সিও, তোরেস, গাভিরা। কোস্টারিকার জালে ৭ বার বল জড়ায় স্পেন। দুই গোল করেন ফেরান তোরেস। একটি করে গোল করে অসেন্সিও অলমো, অসেন্সিও, গাভি, আলভারো মোরাতা ও কার্লোস সোলে। বিশ্বকাপে ইতিহাসে এই প্রথম কোন ম্যাচে ৭ গোল করলো স্পেন।
ম্যাচের ৫ মিনিটে পেদ্রির ক্রস থেকে উড়ন্ত বলে ডিবক্সের ভেতর দানি ওলমোর শট গোলবারের বাইরে চলে যায়। ৯ মিনিটে আবারো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্পেন কিন্তু আসেনসিওর শট গোলবারের ছুঁইয়ে বের হয়ে যায়।
তবে ১৩তম মিনিটে আর ভুল করেননি দানি ওলমো। মাঝমাঠ থেকে গাভির বাড়ানো বল ডিবক্সের ভেতর পেয়ে কেইলর নাভাসের মাথার উপর দিয়ে বল জালে জড়ানো ওলমো। বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে শততম গোলটি আসলো তার পা থেকেই।
২১ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় স্পেন। এবার গোলের খাতা খুলেন মার্কো আসেনসিও। বাম পাশ থেকে বার্সার জর্দি আলবার ক্রসে রিয়াল মাদ্রিদের আসেনসিওর বুলেট গতির শট রুখতে ব্যর্থ হন নাভাস।
৩০ মিনিটে কোস্টারিকার জালে স্পেনের তিন গোল। তৃতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। ডি বক্সে ২৯ মিনিটে দুয়ার্তে ফাউল করেন আলবাকে। পেনাল্টি পায় স্পেন। টরেস বাঁ দিকে নিচু শটে ফাঁকি দেন নাভাসকে। কোটারিকার তারকা গোলরক্ষক ডান দিকে ঝাঁপ দেন। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও নিজেদের পায়ে বল রেখেই গোল আদায়ের চেষ্টা করে গেছে স্পেন। তবে আর কোনো গোল না হওয়ায় ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেন আরো গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। পাস, পাস ও পাস এই নীতিতে খেলে কোস্টারিকার মানসিকতাকেই ভেঙে দেয় তারা।
ম্যাচের ৫৪ মিনিতে আবারো দলের হয়ে গোল করেন ফেরান তোরেন। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ১৫তম গোল। ৪ গোল দিয়েও যেন গোলের ক্ষুধা মেটে না স্পেনের। মোরাতার মত স্ট্রাইকারকে বদলি হিসেবে নামায় তারা।
৭৪ মিনিটে স্পেনের পক্ষে পঞ্চম গোল করেন গাভি। এই গোলের সুবাধে এক ইতিহাস গড়েন এই বার্সা ফুটবলার। স্পেনের সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করলেন তিনি।
ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে ৮৯ মিনিটে স্পেনের হয়ে সর্বশেষ গোলটি করেন পিএসজির ফুটবলার কার্লোস সোলার। ম্যাচের ৯২ মিনিটে আবারও গোল করে স্পেন। এবার অলমোর পাস থেকে বদলি হিসেবে নামা মোরাতা গোল করে দলকে ৭-০ গোলের বিশাল জয় এনে দেন।