জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে অধ্যাপক হাসিনা বেগমকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি পরিপত্র অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অ্যান্ড কলেজের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে রিটকারীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দেওয়ায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অ্যান্ড কলেজের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হিসেবে রিটকারীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারী শিক্ষক হাসিনা বেগমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
পরে রিটকারীর আইনজীবী জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ৬ জুন এবং ২০১২ সালের ৯ জুলাইয়ের দুটি পরিপত্র অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অ্যান্ড কলেজের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক হওয়ায় তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতম শিক্ষকই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু তা সত্ত্বেও সাবেক অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সদস্য সচিব কামরুন নাহার সব আইনকানুন লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কেকা রায় চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাই সে সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
তথ্যসূত্র : বাংলা ট্রিবিউন