বিদেশ শিক্ষা সর্বশেষ

‘২৫ সাল থেকে আমেরিকা,কানাডা,লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসার হার বাড়বে কয়েকগুন

নতুন বাংলাদেশকে অবিচার, দুর্নীতি ও বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়ে আধুনিকায়ন, টেকসই উন্নয়ন, সমতা, ন্যায়বিচার তথা সর্বোপরি এক বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গভবনে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

এজন্য শুরুতেই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। পাশাপাশি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। কেননা তার নিকট দেশবাসীর আশা-আকাঙ্খা বিপুল এবং দেশবাসীকেও তার দেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। ইতোমধ্যে তার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক পদক্ষেপ কি হতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষন শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে উচ্চশিক্ষা খাতে জড়িত থাকা এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরিভাবে ৭ বছর ধরে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং একজন ইমিগ্রেশন ‘ল এর ছাত্র হিসেবে উচ্চশিক্ষা খাতের পরিবর্তন নিয়ে আমার বিচার বিশ্লেষন তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের কাউন্সিলর স্টিফেন ইবেলির মত গত বছর ১৩ হাজার ৫৬৩ জন শিক্ষার্থী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার জন্য গিয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। যা সারা বিশ্বের মধ্যে সপ্তম। এছাড়াও বিভিন্ন পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩ সালে ৯ হাজার ৫৩৫ জন শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য কানাডায় গমন করেছে এবং যুক্তরাজ্যে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৫৮৬ জন।

বাংলাদেশকে বিশ্বের মঞ্চে সেরা দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্থীদের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ক্যাম্পাসে ছাত্র-রাজনীতি, ক্যাম্পাস দলীয় করন ও অস্থিতিশীলতার কারণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সেইভাবে শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে পারেনি। পাশাপাশি দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা ২৫ লাখ।

তাই  দেশকে এগিয়ে নিতে আরো বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে আধুনিক উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। ড.ইউনুসের “তিন শূন্য” ধারণার একটি বিষয় হলো ‘শূন্য বেকারত্ব’। আর বেকারত্ব কমাতে যথাযথ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তাই এখন থেকে আরো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে যাতে তারা প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে বেকারত্বের হার কমাতে পারে এবং দেশে এসে রাষ্ট্রকে সঠিক পন্থায় সংস্কার কাজে অংশগ্রহন করত পারে ।  

যেহেতু প্রফেসর ড.ইউনুস একজন বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন স্বীকৃত ব্যক্তিত্ব এবং বর্তমানে দেশের নেতৃত্ব ভারে রয়েছেন, তাই তিনি তার দক্ষতা, নেতৃত্ব ও কূটনৈতিক পর্যায়ের মাধ্যমে দেশ থেকে যেন আরো বেশি পরিমাণ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনে বিদেশ যেতে পারে সে দিকটি নিশ্চিত করবেন। বিদেশে উচ্চশিক্ষা যেন মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীদের যেন সহজ হয় এবং এটি সহজ করতে যে সমস্যা গুলো ব্যাহত করছে সেগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নিবেন। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর পলিসি মেকার ও একাডেমিক স্কলারদের সাথে সুসম্পর্ক এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

সেক্ষেত্রে বলা যায় ২০২৫ সাল থেকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকা, কানাডা, লন্ডন ভিসা প্রাপ্তির হার কয়েকগুন বাড়বে। শিক্ষার্থীদেরকে এখন থেকে সেই লক্ষ্যেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সবশেষে ড. ইউনুসের একটি উক্তি সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই,

“যদি তুমি কিছু কল্পনা করো তাহলে একদিন সেটি ঘটবেই, যদি তুমি কল্পনাই না করো তাহলে সেটি কোনদিনও ঘটবে না “

বিশ্লেষণে –

জনাব রাকিব হাসান

সিইও, লিডবার্গ এডুকেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *