বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সর্বশেষ

বিগো অ্যাপ কি? কেন এই নিষিদ্ধ অ্যাপে জড়িয়ে পড়ছে তরুন-তরুণীরা

বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কাটে না অনেকের। নানান কাজে ব্যবহার করছেন স্মার্টফোনটি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকছেন। অনেকে এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়ও করছেন মাসে লাখ লাখ টাকা। তবে এসব অনলাইন আয়ের উৎস অনেক অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন দেশে।

টিকটক থেকে শুরু করে বিগো লাইভ অ্যাপ। বিভিন্ন অবৈধ কাজের উৎসাহ দেওয়ার কারণে অ্যাপগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিগো লাইভ অ্যাপের নাম আলোচনায় এসেছে ছোট পর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যুর পর। কি এই অ্যাপ। কেনই বা নিষিদ্ধ এই অ্যাপটি। 

এই অ্যাপের মাধ্যমে দেহ প্রদর্শন করছে বাংলাদেশের তরুণীরা। যার মাধ্যমে ফোন সেক্সে যুবকদের আকৃষ্ট করছে তারা। টাকার বিনিময়ে ইমো, হোয়াটস অ্যাপ কিংবা ভাইবারে হচ্ছে এই ফোন সেক্স। বিগো লাইভের মাধ্যমে এই যৌন ব্যবসার মূল টার্গেট প্রবাসীরা। টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোনে সাময়িক যৌন চাহিদা মেটাচ্ছে তারা। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি যুবকদের কাছে এই অ্যাপটি দিন দিন ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে। ইন্টারনেট সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইন্টারনেট কোম্পানি বিগো টেকনোলজি ২০১৬ সালে বিগো লাইভ চালু করে থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডে ভার্চুয়ালি যৌনতার বিস্তারে এই অ্যাপটি ব্যাপকহারে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ইন্টারনেট সূত্রে জানা গেছে। থাইল্যান্ডের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বিগো লাইভ। বর্তমানে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী এই অ্যাপে সময় কাটাচ্ছে। যদিও অ্যাপটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যে কোনো ধরনের পর্নোগ্রাফী ও নগ্নতা বিগো লাইভে নিষিদ্ধ। এসব কর্মকাণ্ড ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট আইডি ব্যান হতে পারে। তাই এই অ্যাপে সরাসরি যৌন কার্যক্রম চলে না। এটি ব্যবহার করে মূলত যৌনতার ফাঁদ তৈরি করা হয়। অর্থাৎ, বিগো লাইভ যৌন ব্যবসার একটি প্লাটফরম হিসেবে কাজ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *