যদি আপনার ইচ্ছা থাকে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হবেন তাহলে এখনই সেটা নিয়ে ভাবার উৎকৃষ্ট সময়। অনেকেই আন্ডারগ্রেডেই উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাবতে থাকেন। শুরুতেই চিন্তা-ভাবনা করে রাখলে আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ভাবনা চিন্তা করে, লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে পারবেন। বিশ্বের সেরা কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হলে কিছু বিষয়ের প্রতি একটু ভালোমত দৃষ্টি দিতে হবে।
সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিজিপিএ কে খুব গুরুত্ব দেয়। সিজিপিএ যত বেশি রাখা যায় সে চেষ্টা করুন – বিশেষ করে মেজর কোর্সগুলোতে। সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিজিপিএ ৩.৫+ এর উপর চায়। যদি আপনার সিজিপিএ কম থাকে তাহলে আরও কিছু কোর্স নিতে পারেন,এগুলো আপনার আবেনকে বেশি যোগ্য করে তুলবে। তাই সিজিপিএ এভারেজ থাকলেও একেবারে হতাশ হবার কারণ নেই। মাঝারি সিজিপিএ – এর পাশাপাশি যদি এক-দুইটা পেপার থাকে তাহলে আপনার কম সিজিপিএ বাধা হবে না।
বিদেশে অধ্যয়নের জন্য আবেদন করার সময়, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ন্যূনতম CGPA এর প্রয়োজনীয়তাগুলি বুঝতে হবে।
সাধারণত, CGPA-এর থ্রেশহোল্ড পরিবর্তিত হয়, কিন্তু একটি আদর্শ বেঞ্চমার্ক হচ্ছে 4.0 স্কেলে 3.0 । এর মানে হল যে একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শভাবে 3.0 বা তার বেশি জিপিএ বজায় রাখা উচিত যাতে সে বিদেশের বেশিরভাগ বিষয় অধ্যয়নের সুযোগের জন্য যোগ্য হয়। যাইহোক, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে কিছু প্রোগ্রাম কম সিজিপিএ গ্রহণ করে এবং কিছু ক্ষেত্রে, যা 2.0 এর মতো কম।
CGPA এর প্রয়োজনীয়তাগুলি প্রোগ্রামের স্তর, বিষয় এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বিজ্ঞান বা প্রকৌশল বিষয়ের জন্য , অন্য বিষয়ের তুলনায় সাধারণত উচ্চতর CGPA প্রয়োজন।
অবশেষে, কিছু দেশ বা আঞ্চলিক প্রোগ্রামের জন্য অন্য প্রোগ্রামের তুলনায় উচ্চতর CGPA প্রয়োজন হতে পারে।
সিজিপিএ কম থাকলে কি কি সমস্যা হয়?
আপনার সিজিপিএ কম কিন্তুু আপনার মনে বিদেশে পড়াশোনা করার ইচ্ছে জাগলো। তো সেই সময় যখন আপনি বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন করবেন।
তখন আপনি বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। সেগুলো হলো,
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ কমে যাবে
বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উচ্চ একাডেমিক মান প্রত্যাশা করে। তাই কম সিজিপিএ থাকলে ভর্তির সুযোগ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর আপনার সিজিপিএ এর পরিমান যতো বেশি হবে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
অর্থনৈতিক সমস্যা
একটা বিষয় আমরা সকলেই বেশ ভালো করে জানি। সেটি হলো, বিদেশের মাটিতে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা তাদের শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
কারণ তারা অর্থনৈতিক ভাবে অনেক উন্নত দেশ। তবে, কম সিজিপিএ থাকলে আর্থিক সহায়তার সুযোগ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পড়াশোনায় অসুবিধা
বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর পড়াশোনা করা কিছুটা কঠিন। আর আপনার সিজিপিএ কম তার মানে আপনি অতীত শিক্ষা জীবনে ফাঁকি/গ্যাপ দিয়ে এসেছেন। যার কারণে আপনার বিদেশে পড়াশোনা করা অনেক কঠিন মনে হবে।