মার্কিনের জনপ্রিয় অভিনেতা ড্যানি মাস্টারসনকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) লস অ্যাঞ্জেলেসের উচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছেন।
তিন নারীকে ধর্ষণ করার কারনেই ড্যানি মাস্টারসনকে এই শাস্তি প্রদান করেছেন বিচারক শার্লাইন ওমেডো।
জানা গেছে, ২০০৩ সালের অক্টোবরে ড্যানি তার বাড়িতে ডেকে ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে। ধর্ষণ করেন ড্যানি মাস্টারসন। একই বছরের ডিসেম্বরে একই বাড়িতে ২৮ বছর বয়সী আরেক নারীকে ধর্ষণ করেন তিনি। তবে এর আগে ২০০১ সালে ২৩ বছর বয়সী আরেক নারীকে ধর্ষণ করেন এই অভিনেতা। এই নারী ছিলেন ড্যানির সাবেক প্রেমিকা।
গত মে মাসে ড্যানি মাস্টারসনের বিরুদ্ধে দুই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কিন্তু অভিনেতার প্রাক্তন প্রেমিকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। দুই নারীর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ড্যানিকে দোষী সাব্যস্ত করা করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয় তাকে।
যদিও ওই তিন নারীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ড্যানি মাস্টারসন। তবে সাজা শুনানোর সময়ে অভিযোগকারী তিন নারী বিচারককে উদ্দেশ করে বলেন— ড্যানি আমাদের জীবন শেষ করে দিয়েছে। তাকে এমন সাজা দিন, যাতে তার জীবন কারাগারেই শেষ হয়।
এ দিকে রায় শুনানোর সময়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ড্যানির স্ত্রী বিজো ফিলিপস। পাশাপাশি ড্যানির আইনজীবী শন হোলিও এই রায়ে সন্তুষ্ট নন। তার টিম আপিল করার পরিকল্পনা করেছে বলে জানান তিনি।