বিনোদন

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় ক্ষমা চাইলেন নয়নতারা

গত বছরটা দারুণ কেটেছে দক্ষিণি নায়িকা নয়নতারার। ‘পাঠান’ দিয়ে শাহরুখের বিপরীতে বলিউড অভিষেকেই প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। ১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় তাঁর তামিল সিনেমা ‘অন্নপুরাণী: দ্য গডেস অব ফুড’। সমালোচকদের প্রশংসা পায় ড্রামা ঘরানার সিনেমাটি। তবে ২৯ ডিসেম্বর সিনেমাটি ওটিটিতে মুক্তির পর থেকেই নয়নতারা দেখলেন মুদ্রার উল্টো দিক। হলে মুক্তির পর সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেলেও ওটিটিতে মুক্তির পর থেকে শুরু হয় বিতর্ক। ভারতের কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের অভিযোগ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে এ সিনেমায়। নেটিজেনদের রোষানলে পড়েন নয়নতারা। মামলাও করা হয় সিনেমার নির্মাতা, প্রযোজক ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে।

বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি সরিয়ে নেয় নেটফ্লিক্স। বিবৃতি প্রকাশ করে ক্ষমা চায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি স্টুডিওজ। তবে নয়নতারা ছিলেন নিশ্চুপ। অবশেষে অন্নপুরাণী বিতর্কে মুখ খুললেন নায়িকা। চাইলেন ক্ষমা, সঙ্গে জানালেন, সেন্সর করা সিনেমাটি ওটিটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেনি তাঁর সিনেমার টিম।

ইনস্টাগ্রামে একটি লিখিত বিবৃতিপত্রের ছবি পোস্ট করে নয়নতারা লেখেন, ‘অন্নপুরাণী শুধু একটি সিনেমাটিক প্রচেষ্টা ছিল না; অনুপ্রেরণামূলক স্থিতিস্থাপকতা এবং কখনো হাল ছেড়ে না দেওয়ার চেতনা জাগিয়ে তোলার আন্তরিক সাধনা ছিল। আমি বা আমার টিম—কেউই অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এই সিনেমা করিনি। কোনো ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। আমি নিজেও ঈশ্বরভক্ত। মন্দিরে যাই পূজা দিতে। এই সিনেমায় কারোর ভাবাবেগে আঘাত লেগে থাকলে তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমা চাইছি।’

ক্ষমা চাইলেও নয়নতারা লিখিত বিবৃতিতে জানান, এই সিনেমা ওটিটিতে রিলিজ করার আগে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছে। সে সময় নেওয়া হয়েছিল সেন্সর ছাড়পত্র। তাই সিনেমাটি ওটিটি থেকে সরিয়ে ফেলা প্রত্যাশা করেননি।

নীলেশ কৃষ্ণা পরিচালিত অন্নপুরাণী সিনেমার গল্প মূলত অন্নপুরাণী নামের উচ্চাভিলাষী এক নারীকে নিয়ে। রক্ষণশীল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেওয়া অন্নপুরাণীর স্বপ্ন—ভারতের সেরা শেফ হওয়া। এক বন্ধুর সাহায্যে সে নিজের স্বপ্নপূরণের পথে ছোটে। সিনেমার মূল বক্তব্য, খাবারের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক নেই। সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখানো হয়, বিরিয়ানি রান্না করতে গিয়ে ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মেয়ে নামাজ পড়ছে। এ ছাড়া একটি সংলাপে বলা হয় শ্রীরাম মাংস খেতেন। এসব নিয়েই শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *