বিদেশ শিক্ষা সর্বশেষ

জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে পালিত লিডবার্গ এডুকেশনের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

‘শিক্ষার মাধ্যমে নেতৃত্ব ‘ এই মূলকথাকে সামনে রেখে ২০২১ সালে রাকিব হাসান নামের স্বপ্নবিলাসী এক তরুন উদ্যোক্তার একান্ত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় রাজধানীর শ্যামলীতে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার পরামর্শ বিষয়ক সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠান “লিডবার্গ এডুকেশন”। আজ ২ রা অক্টোবর প্রতিষ্ঠার দ্বিতীয় বছর পূর্তি করলো প্রতিষ্ঠানটি।

আজ ২রা অক্টোবর তৃতীয় বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে লিডবার্গ এডুকেশন। লিডবার্গ এডুকেশনের এই বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এবং উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আজ বাদ মাগরিব লিডবার্গ এডুকেশনের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর শ্যামলীতে এক বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়, এতে অংশ নেন লিডবার্গ গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদ, উপদেষ্টা মন্ডলী, সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সাধারন শিক্ষার্থী ও লিডবার্গ গ্রুপের শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীগন এসময় লিডবার্গ এডুকেশনের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। মিলাদ ও দোয়া শেষে আগত সকলের মাঝে তবারক বিতরন করা হয়।

এরপর সন্ধ্যায় ধাণমন্ডীর ক্যাফে এ্যাপেলিয়ানো রেস্তোরায় সকল কর্মীদের সাথে নিয়ে লিডবার্গ এডুকেশনের লোগো সম্বলিত বিশাল আকৃতির একটি কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হয়। এর আগে কর্মীদের পক্ষ থেকে লিডবার্গ এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। লিডবার্গের পক্ষে এই শুভেচ্ছা গ্রহন করেন জনাব রাকিব হাসান।
এছাড়াও সেপ্টেম্বর মাসের ‘এমপ্লয়ি অব দ্যা মান্থ’ হিসেবে সিনিয়র কাউন্সিলর রাইসুল ইসলাম আসাদের কাছে পুরষ্কার স্বরূপ ঢাকা – কক্সবাজার যাওয়া আসার টিকিট তুলে দেন জনাব রাকিব হাসান।

এরপরে লিডবার্গ এডুকেশনের বিভিন্ন কর্মীরা লিডবার্গের প্রতি তাদের আবেগ, ভালোবাসা ও আকাঙ্খার ব্যাপারগুলো তুলে ধরেন। এসময় চারদিকে আনন্দকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। লিডবার্গে কর্মীরা একে অপরের সাথে আড্ডায় ব্যস্ত হয়ে উঠেন তাদের কথার মাঝে ফুটে উঠে কাজের সময়কার বিভিন্ন মজার ঘটনা। কেউ কেউ আবার পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন। হাসি মজা আর হাত তালির কোলাহলে চারদিকে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এরপর লিডবার্গের কর্মীদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সকলের উদ্দ্যেশে সমাপনী ভাষন দেন লিডবার্গের সিইও জনাব রাকিব হাসান, তিনি বলেন অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দেওয়া লিডবার্গ আজ এই জায়গায় এসেছে,তবে আমরা এখানেই থামছিনা, আমাদের গন্তব্যের বাকি রয়েছে এখনো অনেক পথ, বাড়াতে চাই কাজের পরিধি, গত ২ বছরে আমরা যে কাজ করেছি সামনের একবছরে আমরা সেই কাজ করতে চাই, বিশ্বাস অর্জন করতে চাই শিক্ষার্থীদের। তিনি আরো বলেন, সময়ের ব্যাস্ততা ও কাজের চাপের কারনে আমার যেরকম চাওয়া ছিল সেরকম ভাবে হয়তো করে উঠতে পারিনি। তবে ইনশাআল্লাহ সামনের আরো বড়রকমের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা ফুটিয়ে তুলতে পারব আমাদের প্রতিষ্ঠানের গৌরব ও মর্যাদা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *