আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ৪ ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করলো ইরান

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ কাজ করার দায়ে নারীসহ একটি ‘অপরাধচক্রের’ চার ব্যক্তিকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এ সাজা কার্যকর করা হয়।

তাছাড়া ওই চক্রের আরও কয়েকজনের প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা মিজানের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তারা হলেন ভাফা হানারেহ, আরাম ওমারি, রহমান পারহাজো ও নাসিম নামাজি (নারী)। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ পশ্চিম আজারবাইজানে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তারা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো অপরাধ করেছিলেন। তাছাড়া ‘অপরাধচক্রটি’র সদস্যরা মোসাদের নির্দেশনায় ইরানের জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, ওই চারজনের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের অপহরণ করা ও কিছু এজেন্টের গাড়ি-অ্যাপার্টমেন্টে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই গোষ্ঠীটিকে কমপক্ষে চার মাসের নজরদারির মধ্যে রেখেছিল।

পারমাণবিক শক্তি সমৃদ্ধ দেশ ইরান প্রায়ই গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে থাকে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে নিজ নাগরিকদের যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে দেশটি।

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তান-বেলুচিস্তানে মোসাদের হয়ে কাজ করার দায়ে আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল ইরান। তার আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আরও চারজনকে ফাঁসি দিয়েছিল ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি।

ইরানের অভিযোগ, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরায়েল। চলতি বছরের আগস্টে ইরানের প্রতিরক্ষা শিল্প ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনৎ লক্ষ্য করে সবচেয়ে বড় নাশকতামূলক ষড়যন্ত্রের পিছনে ইসরায়েল ছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছিল তেহরান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *