বিদ্যালয় বার্তা সর্বশেষ

অবৈধ সনদ বিক্রিতে জড়িত সবাইকে ধরা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সনদ তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে অনেকে জড়িত থাকতে পারে। তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের সবাইকে ধরা হবে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সার্টিফিকেট ও মার্কশিটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নিজ বাসা থেকে কারিগরি বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁও ও পীরেরবাগে পরিচালিত যৌথ অভিযানে বিপুল সংখ্যক অবৈধ ও জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ বিক্রি করছিলেন শামসুজ্জামান।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সার্ভার তার নিয়ন্ত্রণে থাকায় অনলাইনেও এসব সার্টিফিকেটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। শিক্ষাবোর্ড থেকে সনদ ছাপানোর অর্জিনাল কাগজ চুরি পর্যন্ত করেছেন তিনি। পরে ওইসব কাগজে সনদ ছাপিয়ে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর কাছে বিক্রি করা হতো। এ ঘটনায় বোর্ডের আর কারা কারা জড়িত আছেন, সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, ৩১ মার্চ মধ্যরাতে জাল সার্টিফিকেট প্রিন্ট ও বিক্রির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে ডিটেকটিভ ব্র্যাঞ্চ (ডিবি) আটক করে। এ অবস্থায় প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান, সিস্টেম অ্যানালিস্ট, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে সরকারি চাকরির আইন, ২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা মোতাবেক তাকে বোর্ডের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *