ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মচারীর হামলায় ৫ জন শিক্ষক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত তাজুলের সর্বোচ্চ শাস্তি ও স্থায়ীভাবে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কারসহ মোট সাতটি দাবি দেন। পরে দাবিগুলো স্মারকলিপি আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ শাস্তির ব্যবস্থা করবো, ইতোমধ্যেই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সাময়িক বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারীকে তদন্ত সাপেক্ষে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মানববন্ধন উপস্থিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফারাবি ইমন বলেন, ‘আমাদের স্যারদের ওপর যে হামলা হয়েছে এবং তা কার মদদে হয়েছে এটা এখনো আমরা এখনো নিশ্চিত নই। প্রশাসন এই ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করবে বলে আশা করছি। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিভাগের সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে সন্তোষজনক তদন্ত রিপোর্ট না দিলে ফ্যাকাল্টি অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
যন্ত্রপ্রকৌশল বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাকিব সেলিম বলেন, স্যারদের সঙ্গে যে ন্যাক্করজনক ঘটনা ঘটেছে ফ্যাকাল্টির পক্ষ থেকে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই৷ আমরা সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের সঙ্গে সবসময় আছি এবং থাকব।
৫ শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় কর্মচারী তাজুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে গতকাল পুলিশে সোপর্দ করে মামলা করে প্রশাসন। পরে কৃষি প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন সরকারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।