শাকিব-বুবলী-অপু বিশ্বাসের ভার্চুয়াল লড়াই শেষ হতে না হতেই এবার ফেসবুকে ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন বুবলী। আজ (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বুবলী তার ফেসবুক ভিডিওতে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। আধাঘণ্টারও বেশি সময়ের ভিডিওতে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এমনকি কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বুবলী। তার এ ভিডিওতে সাংবাদিক, ভক্ত-অনুরাগীদের জানিয়েছেন অনেক না বলা ও অজানা কথা।
নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বুবলী বলেন, ‘শাকিব খান নিজেই আমাকে বলেছেন, তিনি এই সম্পর্কে (অপু বিশ্বাসের সঙ্গে) সুখী নন। তিনি তার জায়গা থেকে আমাকে অনেক কিছুই বলেছেন। যেটা আমি তার সম্মানার্থে আগেও বলিনি, আজও বলব না। এটুকু বলি, আমি তো অনেক পরে এসেছি, তাদের সমস্যাগুলো তো অনেক আগে থেকেই।’
তিনি দাবী করেন, ‘তাদের ডিভোর্স হয়ে যাওয়াটা, সেটাও তো সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা। তারা তো ম্যাচিওর মানুষ। এটা সম্ভব যে, কারো দ্বারা প্ররোচিত! কোনো সম্পর্কে সমস্যা হওয়ার পর একজন যখন আরেকটি সম্পর্কে যুক্ত হন, সেটার জন্য কি ওই নতুন মানুষ দোষী হয়ে যায়? আমাদের সমাজে অনেকেই নতুন সম্পর্কে যুক্ত হচ্ছেন না? তাদের যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়, কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তারা যদি সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যেতে চায়, এটার জন্য কি নতুন মানুষটি দায়ী?’
ছেলে শেহজাদ খান বীরের প্রসঙ্গেও কথা বলেন বুবলী। বলতে বলতে তার চোখ ভিজে আসে। কান্না জড়ানো কণ্ঠে নায়িকা বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ওর বিষয়টা একসঙ্গে সুন্দরভাবে সামনে আনতে। কিন্তু কোনোভাবে হচ্ছিল না। আমি তো প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করেছি। ওর বিষয়টা সামনে আনার পর থেকে আমি কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ করিনি এবং আজও করছি না।’
বুবলী বলেন, ‘আমি আমার ইমোশনের জায়গা থেকে বেবি ব্যাম্পের ছবি প্রকাশ করেছিলাম। অনেকে বলে থাকেন শাকিব খানের কাছ থেকে আমি অনেক আর্থিক সহায়তা নেই। এ কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। এতদিনে যত কথা উঠেছে, সব বিষয়ে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি, কারণ, আমি শাকিবের সাথে বিয়ের পর থেকে এবং আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার পর তার থেকে আমি কোনো আর্থিক সাপোর্ট নেইনি। আমার সন্তানের বয়স প্রায় তিন বছরের কাছাকাছি, আমি ওর টেককেয়ার নিজেই করেছি।’
সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় থাকাকালীন অনেক টাকা খরচ হয়েছিল উল্লেখ করে বুবলী বলেন, ‘সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় থাকার সময়টাতে অনেক বড় অংকের খরচ হয়েছে। প্রায় এক বছরের মতো থাকতে হয়েছিল। তখন তিনি (শাকিব) ১৫ হাজার ডলারের মতো হেল্প করেছিলেন। বাকি প্রায় ৩০ হাজার ডলারের মতো আমি নিজে বহন করেছিলাম।’
ভিডিওর শেষাংশে ছেলে শেহজাদের উদ্দেশে কাঁদতে কাঁদতে বুবলী বলেন, ‘বাবা শেহজাদ, মা হয়তো সারাজীবন তোমার পাশে থাকবে না। কিন্তু অন্যান্য মায়ের মতো আমিও তোমার জন্য অনেক কষ্ট করেছি বা করছি। তোমাকে পৃথিবীতে আনা, বড় করা। আমি সবসময় তোমার পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। তুমি মানুষের মতো মানুষ হবা। একটি কথা মনে রেখো, তোমার মা-বাবা তোমাকে খুব ভালোবাসে। আমি হয়তো আমার জায়গা থেকে তোমার জন্য সেরাটা দিতে পারি না। কিন্তু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা।’
প্রসঙ্গত, অপু বিশ্বাস শাকিব খানের স্ত্রী থাকাকালীনই তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বুবলী। ২০১৮ সালের ২০ জুলাই শাকিব-বুবলীর বিয়ে হয় গোপনে। তখন অবশ্য অপুর সঙ্গে শাকিবের ডিভোর্স হয়ে গেছে। ২০২০ সালের ২১ মার্চ আমেরিকায় জন্ম হয় শাকিব-বুবলীর ছেলে শেহজাদ খান বীরের। গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ সবকিছু ফাঁস করেন বুবলী