নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে ব্রাজিলের বিপক্ষে জিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো ক্রোয়েশিয়া।
আবারও ইউরোপিয়ান দলের সামনে এসে থমকে দাঁড়াতে হলো ব্রাজিলকে। ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে শুরু, এ নিয়ে পঞ্চমবার নকআউটে এসে ইউরোপিয়ান দলের কাছে হারতে হলো লাতিন আমেরিকান পাওয়ার হাউজ ব্রাজিলকে। এর মধ্যে চারবারই কোয়ার্টার ফাইনালে।
ম্যাচের শুর থেকেই দুদল সমানতালে খেলতে থাকলেও আক্রমণে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করছে ব্রাজিল। ম্যাচের ৫২ শতাংশ সময়ই নিজেদের পায়ে বল রেখেছে ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা। ক্রোয়েশিয়ার গোলপোস্ট লক্ষ্য করে তিনবার শট নিলেও তা জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল।
ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়া চেষ্টা করেছে আধিপত্য ধরে রাখার জন্য। ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেই তাকে ঘিরে ধরেছে তিন-চার জন।
আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পরও নির্ধারিত সময়ের খেলায় গোল পায়নি গোল দলই। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলায় নেইমারের গোলে প্রথমে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
মাঝমাঠ থেকে খেলা শুরু করেছিলেন নেইমারই। প্রথমে পাস দেন পেদ্রোকে। সেখান থেকে নেইমার বল দেন পাকুয়েতাকে। পাকুয়েতার থেকে পাস পেয়ে গোলকিপার লিভাকোভিচকে এক টোকায় কাটিয়ে বল জালে জড়ান পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার।
পিছিয়ে পড়ে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠে ক্রোয়েটরা। অতিরিক্ত সময়ের ৩ মিনিট বাকি থাকতে ১১৭তম মিনিটে মাঠের বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণে গিয়ে বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন মিসলাভ ওরসিচ। বক্সের মধ্যে সেটা পেয়েই শট নেন পেটকোভিচ। বল জড়ায় ব্রাজিলের জালে। তাতেই সমতা ফেরে ক্রোয়েটরা।
অতিরিক্ত সময় শেষেও দুই দলের গোলসংখ্যা সমান হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টিতে, কিন্তুু ব্রাজিলের রদ্রিগো ও মার্কুনহোইসের পেনাল্টি মিসে ব্রাজিলকে ৪-২ গোল ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের উঠে ক্রোয়েশিয়া।