সর্বশেষ

পারিবারিক ইফতার মাহফিল আয়োজনে লিডবার্গ চেয়ারম্যান রাকিব হাসান

আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর একটি রেস্তোরায় পারিবারিক ইফতার মাহফিলে অংশ নেন লিডবার্গ গ্রুপ এর কর্ণধার জনাব রাকিব হাসান।

ইফতার মাহফিলে জনাব রাকিব হাসানের পরিবারের সকল সদস্য, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরিবারের কাছের মানুষসহ প্রায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহন করে। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সব মানুষ একত্রিত হওয়ায় রোজার ক্লান্তির মধ্যেও সবার মুখে উচ্ছ্বাস ও প্রানোচ্ছল ভাব দেখা যায়। অনেকদিন পর সাক্ষাতে সবাই একে অপরের সাথে মনের ভাব আদান প্রদান করেন।

ইফতারে আমন্ত্রিত এক আত্মীয় বলেন, শৈশব থেকেই রাকিব কঠিন পরিশ্রমী ও আত্মবিশ্বাসী ছিল। নিজের স্বপ্ন ও আকাঙ্খার পিছনে ছুটতে সে ভালোবাসত। পরিবারের কাছের মানুষ, আত্মীয় স্বজন সবার সাথেই সে সর্বদা যোগাযোগ রক্ষা করত। কেউ অসুস্হ হলে নাওয়া – খাওয়া, কাজ-কর্ম, দিন-রাত ভুলে তার পাশে থেকে সেবা করতে চেষ্টা করত। কারো বিপদে কোন রকম কার্পন্য না করে সবার আগে এগিয়ে আসত। এত কিছুর বিনিময়ে সে শুধু মাথা পেতে চেয়ে নিত সকলের দোয়া। আজকে সমাজে তার যেই অবস্থান, এসবকিছু সে অর্জন করেছে নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রমে। এই পবিত্র রমজান মাসে আমরা তার জন্য অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে দোয়া করি যাতে মহান রাব্বুল আলামীন তার উন্নতি ও সমৃদ্ধি যেন আরো দীর্ঘ ও ত্বরান্বিত করে দেন।

ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথিগন সকলে মিলেমিশে একসাথে ইফতার সম্পন্ন করেন। এর আগে সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়ার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও দেশের সব মানুষের এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্যও দোয়া করা হয়। এসময় স্থানীয় কিছু দুঃস্থ মানুষদের মধ্যেও খাবার বিতরন করা হয়।

ইফতার মাহফিল আয়োজনের বিষয়ে জনাব রাকিব হাসান বলেন, সর্বপ্রথম অসীম করুনাময় ও পরম দয়ালু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর শুকরিয়া আদায় করছি। যাঁর দয়া ও অনুগ্রহ ব্যাতিরেক আমরা সবাই এখানে একত্রিত হতে পারতাম না। এখানে আমি আমার স্বজন ও কাছের মানুষদের দেখে অনেক আনন্দবোধ করছি। যারা আমার চলার পথের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সর্বাবস্থায় আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন। তাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। এখানে সবাই মিলেমিশে আল্লাহর অশেষ নিয়ামত ভোগ করতে পারছি, এ যেন এক অতুলনীয় তৃপ্তি।

তিনি আরো বলেন, সর্বোপরি পবিত্র রমজান মাস ভোগের নয় আমাদের ত্যাগের শিক্ষা দেয়। তাই আমাদের সকলের উচিত যার যার অবস্থান থেকে মানবতার সেবায় নিজের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার। কারো বিপদে-আপদে নিঃস্বার্থভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো । অন্ন-বস্ত্র-অর্থ যাকে যেভাবে সাহায্য করা যায় সেভাবেই সাহায্য করা। এভাবেই আমরা রমজানের প্রকৃত শিক্ষা উপলব্ধি করতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *