এশিয়া কাপে সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে পাক পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতেই টপ অর্ডারের ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে টাইগাররা। ফলে ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৫ ও মুশফিকুর রহিম ২ রানে ব্যাট করছেন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বস্তিতে খেলতে পারেননি নাঈম শেখ। কিন্তু আগের ম্যাচে টপ অর্ডারে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকানো মেহেদি হাসান মিরাজ একও বলের বেশি টিকতে পারলেন না।
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলটি গুড লেন্থে করেছিলেন নাসিম শাহ। সেখানে লেগের দিকে ঘুরানোর চেষ্টা করেছিলেন মিরাজ। কিন্তু বল চলে যায় সোজা মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারের হাতে। তাতে রানের খাতা খুলার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন নাজমুল হোসেন শান্তর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে স্কোয়াডে ফেরা লিটন দাস। উইকেটে এসেই বাউন্ডারি মেরে বেশ দারুণ শুরু করেছিলেন তিনি। পরের ওভারে নাসিমকে আরও দুই বাউন্ডারি হাঁকান এলকেডি। কিন্তু এমন শুরু পেয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি উইকেটকিপার এই ব্যাটার।
পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে শাহিন শাহ আফ্রিদির ব্যাকঅব লেন্থ থেকে লাফিয়ে উঠা বলে ব্যাট চালান লিটন। তবে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ধরা পড়েন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে ১৬ রান।
ইনিংসের শুরুতেই জোড়া উইকেট হারালেও একপ্রান্তে অবিচল দাঁড়িয়ে ছিলেন ওপেনার নাঈম। শুরুতে ব্যাটিংয়ে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন তিনি। কিন্তু ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি নাঈম। মিরাজ-লিটনের দেখানো পথেই হাঁটেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
অষ্টম ওভারে নাসিমের পরিবর্তে হারিস রউফকে বোলিং আনেন পাক অধিনায়ক বাবর। আর বোলিংয়ে এসেই কাপ্টেনের আস্থার প্রতিদান দেন ডানহাতি এই পেসার। ওভারের তৃতীয় বলটি খাটো লেন্থে করেছিলেন রউফ, সেখানে পুল করতে গিয়ে বল সোজা উপরে ওঠে যায়, তাতে বোলার নিজেই তালুবন্দি করেন।
ফলে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন নাঈম। ফেরার আগে ২৫ বলে ২০ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এই উইকেট পেয়ে ওয়ানডেতে পঞ্চাশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রউফ। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের মধ্যে দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট শিকারির তালিকায় ওয়ার্কার ইউনিসের সাথে যৌথভাবে তিনে আছেন তিনি।
এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন এশিয়া কাপের আগেও ফর্মের তুঙ্গে থাকা তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু চলমান এই আসরে নিজের ছায়া হয়ে থাকা এই ব্যাটার গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। এবার সুপার ফোরে এসেও ব্যর্থ তিনি। রউফের বলে বোল্ড হয়ে ২ রান করে বিদায়ে উল্টো দলকে আরও বিপদে ফেলেছেন।
তাতে দলীয় অর্ধশতকের আগেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। এখন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও সাকিব দলের বিপর্যয়ে হাল ধরেছেন।