আন্তর্জাতিক

বিমান হামলার পরও হুথিদের আক্রমন কমেনি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, লোহিতসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানেও থামেনি ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের আক্রমণ। বাইডেনের এ কথার পর গতকাল বৃহস্পতিবারই যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন জাহাজে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুতিরা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

সর্বশেষ হামলায় হুতিরা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ এমভি কেম রেঞ্জারে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম দফা হামলার পর হুতিরা এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। লোহিত সাগরে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্রের সীমানার বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী অবস্থান করছে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।

হুতিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা কাজ করছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, ‘যদি বলেন হুতিদের আক্রমণ থামাতে কাজ করছে কি না, তাহলে বলব, না। তারা কি আক্রমণ অব্যাহত রাখবে? হ্যাঁ।’

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন অভিযানের তত্ত্বাবধানকারী ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে যে, দক্ষিণ লোহিতসাগর লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হুতিদের দুটি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আত্মরক্ষার্থে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করে সেগুলো ধ্বংস করেছে মার্কিন বাহিনী

পেন্টাগনের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সাবরিনা সিং পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা হুতিদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি না। আমরা প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

এমভি কেম রেঞ্জারে হুতিদের হামলার চেষ্টার বিষয়টি সেন্টকমও নিশ্চিত করেছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, মার্শাল দ্বীপে মার্কিন পতাকাবাহী জাহাজটিতে দুটি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। তবে সেগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ইয়েমেনের সামরিক মুখপাত্র অবশ্য এর আগে এক বিবৃতিতে দাবি করেন যে, জাহাজটিতে ‘সরাসরি আঘাত’ করা হয়েছে।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র হুতিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দেওয়ার দিনেও মার্কিন মালিকানাধীন জাহাজে হামলা করেছিল হুতি বিদ্রোহীরা।

এ দিকে, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘দারুণ গর্বের’ বলে অভিহিত করেছেন হুতিদের নেতা আব্দুল মালিক-আল হুতি। বৃহস্পতিবার এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো ইয়েমেনের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং জনগণের ওপর সরাসরি আক্রমণ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *