চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড়ে পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে গড় পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে।
পাসের হার বাড়লেও এবার জিপিএ-৫ কমেছে। এ বছর ১১টি বোর্ডে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৯ জন।
রোববার (১২ মে) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশের ঘোষণা দেন। এরপর বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে ফলাফল দেখতে পারছেন।
কোন বোর্ডে পাসের হার কত
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর পাসের হারে এগিয়ে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ। এরপরই রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৮৯ দশমিক ৩ শতাংশ। পাসের হারে তৃতীয় বরিশাল বোর্ডে পাস করেছে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী।
এছাড়া ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।