প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য স্কলারশিপ দিবে জাপান সরকার। ‘মেক্সট ২০২৩ টিচার্স ট্রেইনিং স্টুডেন্টস স্কলারশিপ’ এর আওতায় নির্বাচিতদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় ০৯ জানুয়ারি ২০২৩।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাপানের মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (মেক্সট) এ স্কলারশিপের অর্থায়ন কর থাকে। এজন্যই এটি মেক্সট স্কলারশিপ নামে পরিচিত। জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্কুল শিক্ষার উপর গবেষণা পরিচালনা করতে চান এমন শিক্ষকদের জন্যই এ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। বৃত্তির সময়সীমা দেড় বছর।
জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম সেরা একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট স্কলারশিপ’। বিশ্বের প্রায় ১৬০টির মতো দেশ থেকে ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত হল ১৯৫৪ সাল থেকে দিয়ে আসা এই বৃত্তিটি।
আবেদনের যোগ্যতা:
• বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
• ১৯৮৮ সালের ২ এপ্রিলের পর জন্মগ্রহণকারীরা আবেদনের যোগ্য।
• আবেদনকারীদের প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে ন্যূনতম ৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
• বর্তমানেও প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিক স্কুলে কর্মরত রয়েছেন এমন।
• জাপানি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকতে হবে।
• প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা থাকতে হবে।
• ইংরেজি অথবা জাপানি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। ( আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে আইইএলটিএস বা টোয়েফলের সনদ ) ।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ
অনলাইনে আবেদন করতে হবে । তবে অনলাইন আবেদন এর পাশাপাশি যাবতীয় নথি বাংলাদেশ সচিবালয়ে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে ক্লিক করুন।( এই লিংক ২০২৩ সালের ০৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু থাকবে)।
হার্ড কপি জমা দেওয়ার ঠিকানাঃ
আবেদনপত্রের হার্ড কপি সচিবালয়ের ২ নম্বর গেট–সংলগ্ন অভ্যর্থনাকক্ষে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। খামের ওপর প্রেরক, প্রাপক, আবশ্যিকভাবে ID/Tracking Number এবং প্রোগ্রামের নাম উল্লেখ করতে হবে। হার্ড কপি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২৩, বিকেল সাড়ে ৩ টা । ২ নম্বর গেট ব্যতীত অন্য কোনো গেটে আবেদন জমা দেয়া হলে তা বিবেচনা করা হবে না।=
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
• প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের সকল একাডেমিক খরচ বহন করবে জাপান সরকার।
• উপবৃত্তি হিসেবে প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ইয়েন প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ টাকা।
• ভ্রমণ ভাতা প্রদান করা হবে।
• গবেষণা ভাতা প্রদান করা হবে।
