১৩৬ রানের মাথায় পড়েছে ৯ম উইকেট। তখনও প্রয়োজন ৫১ রান। উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ। সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান। এমন ম্যাচও বাংলাদেশ হেরে যাবে ভারতের কাছে? কিন্তু চিত্রনাট্যের তখনও পাঞ্চলাইন যে বাকি! বিস্ময়কেও যা হার মানিয়ে যাওয়ার মতো।
শেষ দিকে উইকেটের মিছিল দেখে গ্যালারি থেকে কিছু দর্শক বেরিয়ে যান। নিশ্চয় তারা আফসোসের অনলে পুড়ছেন এখন। যারা ছিলেন তারা গর্জনে-তর্জনে তাঁতিয়ে দিয়েছিলেন মিরাজদের। তাইতো তারা হয়ে যান বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান। নিখুঁত ব্যাটসম্যান। মিরাজ ৩৯ বলে ৩৮ রানে ও মোস্তাফিজ ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অথচ এই ম্যাচটি এত কঠিন ছিল না। ১৮৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে ২৬ রানে দুই উইকেট হারালেও সাকিব ও লিটন মিলে জুটি গড়েন। তাদের ৪৮ রানের জুটিতে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ। লিটনের আউটের পর সাকিব (২৯), মুশফিক (১৮), মাহমুদউল্লাহ (১৪) নিজেদের ইনিংস লম্বা পারেননি। বিশেষ করে ৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে মিরাজ ও মোস্তাফিজ জুটি দলকে জেতালেন। নিঃসন্দেহে মিরপুরের অবিশ্বাস্য এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ইতিহাসে অনন্য হয়ে থাকবে।
এর আগে সাকিব আল হাসান আর এবাদত হোসেনের বোলিং তোপে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লোকেশ রাহুল। সাকিব আল হাসান ৩৬ রানে নেন ৫ উইকেট এবং এবাদত হোসেন ৮.২ ওভার করে নেন ৪ উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।