বিশেষজ্ঞরা রোজকার ডায়েটে কিছু নির্দিষ্ট শুকনো ফল রাখার পরামর্শ দেন। তবে, শরীরের জন্য ভালো বলেই যথেচ্ছ পরিমাণে এটি খাওয়া ঠিক নয়।
ড্রাই ফ্রুটসের পুষ্টিগুণ শরীরকে নানারকম রোগ থেকে দূরে রাখে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও মুখ্য ভূমিকা নেয় এই ফল। কিন্তু শুকনো ফলে জলের ভাগ একেবারেই কম থাকে। কিছু কিছু ফলে জল একেবারেই থাকে না। তবে এইধরনের ফলও শরীরের জন্য
সাধারণত, বিশেষজ্ঞরা রোজকার ডায়েটে কিছু নির্দিষ্ট শুকনো ফল রাখার পরামর্শ দেন। তবে, শরীরের জন্য ভালো বলেই যথেচ্ছ পরিমাণে এটি খাওয়া ঠিক নয়। বরং নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে বেশি খেলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। এই প্রতিবেদনে থাকছে তেমনই কয়েকটি সমস্যার কারণ। ওজন বেড়ে যাওয়া: কিছু কিছু শুকনো ফলে প্রোটিনের পাশাপাশি থাকে অত্যাধিক পরিমাণে ফ্যাট। বিশেষ করে বাদাম, হ্যাজেলনাট, পেস্তা, কাজু ও আখরোট বেশি পরিমাণে খেলে শরীরে ফ্যাট বেড়ে গিয়ে অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফ্যাট শরীরের জন্য অতিরিক্ত ভালো নয়। এছাড়াও বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্য়ালোরি। অতিরিক্ত পরিমাণে এগুলো খেলে শরীরে ক্য়ালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর থেকেই বাড়ে ওজন।
চিনির আধিক্য: কিছু কিছু ফলে একেবারেই জল থাকে না। এই কারণে ফলে থাকা চিনির ঘনত্বও বেশি হয়। অত্যাধিক পরিমাণে খেলে ফলগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জি: কোনও কোনও খাবারের বা বস্তুর সংস্পর্শে এলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে পড়ে। সাধারণত এই পদার্থ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এই বিশেষ আচরণকেই অ্যালার্জি বলে। অনেকেরই বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি থাকে।
হজমের সমস্যা: বাদামে থাকা ফাইটেট ও ট্যানিন নামক উপাদান হজম হতে যথেষ্ট সময় নেয়। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন থাকার কারণে শুকনো ফল সহজে হজম হয় না। তাই বেশি পরিমাণে শুকনো ফল খেলে হজমে গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খাবারের বিষক্রিয়া: অতিরিক্ত শুকনো ফল খেলে প্রায়ই খাাবারের বিষক্রিয়া দেখা দেয়। বাদাম ও খেজুর বেশি খেলে এই সমস্যা প্রায়ই হয়। এছাড়া ব্রাজিল নাট বেশি খাওয়ার ফলে শরীরে সেলেনিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যায়। আমন্ডে থাকে হাইড্রোসায়ানিক অ্যাসিড। এর ফলে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হয়
সূত্র: নিউজ১৮