ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বাংলা ভাষা বিষয়ে চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স চালুর ব্যাপারে সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাতকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে চীন সরকার দীর্ঘদিন যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও বেশি যৌথ কার্যক্রম গ্রহণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বৃত্তির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। এক্ষেত্রে চীনা ভাষায় দক্ষ শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে তিনি জানান। বৈঠকে সমকালীন চীন বিষয়ে বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পুল তৈরি করার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
চীনে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও গবেষণার চাহিদা পূরণে গুরুত্বারোপ করেছেন শিক্ষাবিদদরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর এ.বি.এম. রেজাউল করিম ফকির জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির বিদ্যায়তনিক (একাডেমিক) চর্চা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ায় বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক সংজ্ঞাপন ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে বিশ্বের নানা দেশে বিদেশি ভাষার শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম প্রসারিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৪ মহাদেশের ৩০টি দেশের ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা ও চর্চা হচ্ছে। এ ছাড়া চীনা ভাষায় রবীন্দ্ররচনাবলির ৩৩ খণ্ডের অনুবাদ থেকে শুরু করে লালনের গান ও দর্শন ইংরেজি ও জাপানি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। সোভিয়েত আমলে রুশ ভাষাতে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের ব্যাপক অংশের অনুবাদ হয়েছে।