দুই দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষকরা।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ কর্মবিরতির ডাক দেয়।
কর্মবিরতির বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে ইউজিসির পাঠানো অভিন্ন নীতিমালা অনুমোদন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে আইসিটি পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতিতে যান শিক্ষকরা। ফলে সব একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেও ক্লাস না হওয়ায় ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছে। শিক্ষকদের কর্মবিরতি চললেও প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম ও প্রথম বর্ষ আর্কিটেকচার বিভাগের ড্রয়িং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন যথারীতি চললেও খুলনার ও ভাটিয়াপাড়ার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রিজেন্ট বোর্ডে ইউজিসির পাঠানো অভিন্ন নীতিমালা অনুমোদন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইসিটি পার্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষকদের অভিন্ন নীতিমালা নির্দেশিকাটি হুবহু গ্রহণ করার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকদের সাধারণ সভার পরামর্শ অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলের গঠিত অভিন্ন নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি। পরে রিজেন্ট বোর্ডে ইউজিসির পাঠানো অভিন্ন নীতিমালা নির্দেশিকাটি হুবহু অনুমোদন করা হয়েছে। অভিন্ন নীতিমালায় শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতির বিভিন্ন শর্তে অপষ্টতা ও অসামঞ্জস্যতা বিদ্যমান থাকায় এবং অভিন্ন নীতিমালা পর্যালোচনা কমিটির কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হয়নি।
এছাড়া আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ একরের স্বল্প আয়তনে আইসিটি পার্ক স্থাপনে তীব্র আপত্তি জানানো হয়। নতুন করে জমি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন বাড়িয়ে উক্ত স্থানে আইসিটি পার্ক নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
উক্ত দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।