কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের তৃতীয় ম্যাচে এমবাপ্পের জোড়া গোলে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে তৃতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এমবাপ্পে ছাড়াও গোলের দেখা পেয়েছেন ওলিভার জিরুড। এদিকে পোল্যান্ডের একমাত্র গোলটি করেন রবার্তো লেভানডোস্কি।
আজ রবিবার রাত ৯টায় আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে পোলিশ ডিফেন্সকে দিশেহারা করে ফ্রান্স। পোল্যান্ড বেশ কিছু আক্রমণ করলেও এমবাপ্পে-জিরুদদের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। খেলার একবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। গোল করে ব্যবধান কমান লেভানডোভস্কি।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম থেকেই দুর্দান্তভাবে খেলতে থাকে তারা। ম্যাচের ৪ মিনিটে গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে ভারানের হেড গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ১৩ মিনিটে চৌয়ামেনির দূরপাল্লার শটে আবারো বাধা হয়ে দাঁড়ান পোলিশ গোলরক্ষক সিজনি।
২১ মিনিটে পোল্যান্ডের লেভানডোস্কি একটি সুযোগ মিস করেন গোল পোস্টের বাইরে দিয়ে। এক পর্যায়ে মে হচ্ছিলো গোলশূন্য ব্যবধানেই বিরতিতে যাবে দুদল। কিন্তু প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে দলকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরুড। ডি বক্সের বাইরে থেকে এমবাপের বাড়ানো ডিফেন্স চেরা পাসে বা পায়ের শটে সিজনিকে পরাস্ত করে ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান তিনি।
বিরতির পর ম্যাচের ফেরার চেষ্টা ছিল পোলিশদের। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যায় ফ্রান্সও। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ডেম্বেলের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে দলে এগিয়ে দেন তিনি।
ম্যাচের ৯১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় দলের তৃতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। বক্সের ভেতরে মার্কাস থুরামের পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে এটি এমবাপ্পের পঞ্চম গোল।
ম্যাচের একবারে অন্তিম মুহূতে (৯৬ মিনিট) পেনাাল্টি পায় পোল্যান্ড। লেভানডোভস্কির দুর্বল শট ঠেকিয়েও দিয়েছিলে লরিস। কিন্তু গোললাইন থেকে এগিয়ে আসায় ওই শট বাতিল হয়। আবারও পেনাল্টি শট নেন লেভানডোভস্কি। পরের বার আর ভুলে করেননি তিনি। তবে তাতে শুধু ব্যবধানই কমেছে। ম্যাচটি শেষ হয় ৩-১ গোল ব্যবধানে