আধুনিক বিশ্ব ও উন্নত দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রতিবছর বিপুল পরিমান শিক্ষার্থী দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। কিন্তু দেশের স্কুল,কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম বিদেশের শিক্ষাব্যবস্থার তুলনায় সমপর্যায়ের না হওয়ায় বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু কেমন হতো যদি শিক্ষার্থীরা স্কুল জীবনের শুরু থেকেই উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্হার সুযোগ পেত। আর তা এখন সম্ভব ‘স্কুলিং ভিসার’ মাধ্যমে। স্কুলিং ভিসার ব্যাপারে বিশদভাবে জানতে আমরা এসেছি ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত ‘লিডবার্গ এডুকেশনে’র প্রধান কার্যালয়ে। এখানে আমরা কথা বলব সিনিয়র কনসালট্যান্ট জনাব রাইসুল ইসলামের সাথে।
প্রশ্ন : ‘স্কুলিং ভিসা ‘ কি? এবং এটি কাদের জন্য প্রযোজ্য?
রাইসুল ইসলাম : উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীরা যেমন দেশ থেকে বিদেশে পড়তে যায়। তেমনি কেজি থেকে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিদেশের স্কুলে পড়তে যাওয়ার জন্য যে ভিসা প্রদান করা হয় সেটিই স্কুলিং ভিসা। আরো সহজভাষায় বলতে গেলে স্কুলিং ভিসা হচ্ছে শিশু বা স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য। ১৮ বা ১৯ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের জন্য এই ভিসা।
প্রশ্ন : ভিসা পাওয়ার জন্য কী কী যোগ্যতা দরকার?
রাইসুল ইসলাম : প্রথম শর্ত হচ্ছে সর্বোচ্চ বয়সসীমার বেশি কেউ আবেদন করতে পারবেন না এবং দেশের কোন স্কুলে কেজি থেকে দশম শ্রেনীর মধ্যে যেকোন একটি শ্রেনীতে অধ্যয়নরত থাকতে হবে তারপর ঐ স্কুল হতে ট্রান্সফার হয়ে বিদেশের কোন স্কুল থেকে অফার লেটার সংগ্রহ ও ভর্তি হতে হবে, তারপর ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
প্রশ্ন : এই ভিসার সুবিধা অসুবিধা গুলো কী কী?
রাইসুল ইসলাম : এই ভিসার অসুবিধা একটিই, আর তা হলো এই ভিসার কোন অসুবিধাই নেই (একটু হেসে)। কিন্তু এই ভিসার সুযোগ- সুবিধা অনেক। প্রথমত এই ভিসার জন্য কোনরকম IELTS স্কোর বা কোন ল্যাংগুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি দরকার পড়ে না। খুব সহজেই এই ভিসা পাওয়া যায় এবং এই ভিসার রিজেকশন একদম শূন্য। এই ভিসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সাথে মা-বাবাও ঐ দেশে যেতে পারবেন। পুরো পরিবার সহ বিদেশ যাওয়ার এটি একটি সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন : শিক্ষার্থীর সাথে বাবা মা যেতে হলে কী করণীয়?
রাইসুল ইসলাম : শিক্ষার্থীর সাথে মা-বাবা বা কোন অভিভাবককে যেতে হলে তাকে ভিজিট ভিসায় যেতে হবে। এবং এর জন্য মা – বাবার একাউন্টে ৩০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে, পাশাপাশি তাদের স্টেটমেন্ট অব ফান্ড ( আয়-ব্যায়ের হিসাব) দেখাতে হবে। তবে অনেকের পক্ষে এত পরিমান টাকা দেখানো সম্ভব নয়। তাদের জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান ‘লিডবার্গ এডুকেশন’ হতে আমরা ব্যাংক সাপোর্ট প্রদান করে থাকি।
প্রশ্ন : ‘স্কুলিং ভিসার’ আবেদন প্রক্রিয়া কেমন?
রাইসুল ইসলাম : দেখুন, উন্নত দেশগুলোর ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল। বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানা না থাকায় অনভিজ্ঞ কেউ সঠিক ঠিকমতো আবদেন করতে পারে না।এতে মূল্যবান সময় ও শ্রম নষ্ট হয়। তাই আমার ব্যাক্তিগত উপদেশ হলো অভিজ্ঞ কারো নিকট শরনাপন্ন হওয়া, এমনকি চাইলে আপনারা ‘লিডবার্গ এডুকেশন’ এ যোগাযোগ করতে পারেন।আমাদের রয়েছে ‘স্কুলিং ভিসা’ বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একটি টিম। আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত ভিসার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকি। আপনারা ঘরে বসে নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে আপনাদের আবেদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষন করতে পারবেন।
প্রশ্ন : ‘স্কুলিং ভিসার’ ব্যাপারে সকলের জন্য আপনার কি উপদেশ থাকবে?
রাইসুল ইসলাম : স্কুলিং ভিসার ব্যাপারে আমি যদি কিছু বলতে চাই সেটা হল, এই ভিসার মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে স্কুল পর্যায় থেকেই উন্নত দেশ তথা কানাডা,আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে সন্তানকে আধুনিক ও উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারবেন। পাশাপাশি পুরো পরিবার সহ এসব দেশগুলোতে স্থায়ী নাগরিকত্বের সুবিধাতো আছেই ।কিন্তু অনেকের এই ব্যাপারে ধারনা নেই,পাশাপাশি অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যাপারে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই। তাই যদি ‘স্কুলিং ভিসার’ ব্যাপারে আগ্রহ থাকে তাহলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করুন। আর প্রয়োজনীয় তথ্য ও সাহায্যের ব্যাপারে যোগাযোগ করুন ‘লিডবার্গ এডুকেশনে’। আপনার সেবাদানে আমরা বদ্ধ পরিকর।
প্রশ্নকর্তা : ধন্যবাদ আপনাকে সবকিছু সহজ ও সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য।
রাইসুল ইসলাম : ধন্যবাদ একাডেমিক ডায়েরিকে আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।