খেলাধুলা

সিপিএলে ঝড়ো ফিফটিতে দল জিতিয়ে ম্যাচসেরা সাকিব

এবারের সিপিএলে সাকিব আল হাসান যেন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের জিয়ন কাঠি হিসেবে কাজ করছেন। দলটিতে যোগ দানের পর থেকে গায়ানাকে টানা ৪ জয় পাইয়ে দিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রেখে সুপার ফোরে জায়গা নিশ্চিত করে দিলেন।

এবারের আসরে গায়ানার জার্সিতে মাঠে নামার পর ব্যাট হাতে ছিলেন সবচেয়ে বেশি অসফল। টানা দুটি গোল্ডেন ডাকে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। আগের ম্যাচেই ঝড়ো ৩৫ রান করে থামতে হয়েছিল। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ঝড়ো ফিফটি হাঁকিয়ে গায়ানাকে সহজ জয় পাইয়ে দিয়েছেন সাকিব। ব্যাক টু ব্যাক দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কারও বাগিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার।

বার্বাডোজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল গায়ানার। তবে এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের সেরা দল বার্বাডোজকে হারালেই সুপার ফোরে সরাসরি কোয়ালিফায়ার খেলার যোগ্যতা অর্জন করতো সাকিবের দল। আর সেই কাজটি করতে কোনো ভুলই করেনি গায়ানা। নিজেদের ঘরের মাঠে বার্বাডোজকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দলটি।

টসে জিতে এদিন বার্বাডোজকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় সাকিবের দল। গায়ানার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বার্বাডোজকে ১২৫ রানে আটকে দেয় সাকিবরা। বল হাতে ২ ওভার ৩ বল করে ১২ রান দিয়ে এদিনও ১ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এছাড়াও গায়ানার অন্য বোলারদের মধ্যে রোমারিও শেফার্ড ৩টি এবং কেমো পল ও ওডেন স্মিথ শিকার করেন ২টি করে উইকেট। বার্বাডোজের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে জেসন হোল্ডারের ব্যাট থেকে।

১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে গায়ানা। চাপের মুখে চারে নেমে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন সাকিব। মাঠের চারপাশেই চার-ছয়ের ফুলঝুরিতে ২৭ বলেই তুলে নেন ফিফটি। যদিও ফিফটি তুলে ৩০ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে ৫৩ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই তারকা।

সাকিবের সামনে অপরপ্রান্তে প্রায় নিষ্প্রভ ছিলেন আফগান হার্ড হিটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সাকিবের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়া গুরবাজ ফেরেন ব্যক্তিগত ২২ রানে। শেষদিকে গায়ানার অধিনায়ক শিমরন হেটমায়ার ১০ এবং কেমো পল ১২ রান করলে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *