ফিফার পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই উইন্ডোতে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা করছিল সিঙ্গাপুরও। এজন্য নিজেদের দেশে বাংলাদেশকে খেলার জন্য আমন্ত্রণও জানিয়েছিল তারা। কিন্তু সফরের সব ব্যয় নিজেদেরই বহন করতে হবে বিধায় আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছিল। ফলে সে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রচেষ্টাও আলোর মুখ দেখেনি সিঙ্গাপুরের।
এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছিলেন, ‘কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে নয়, ফিফা টায়ার-১ এর একটি ম্যাচ খেলতে ১৬ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর যাবে সাবিনারা। সেখানে তাদের বিপক্ষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।’
তবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সিঙ্গাপুর সফর আবারও নতুন করে নাটকীয়তায় রূপ নিয়েছে। ফিফার প্রীতি ম্যাচটি খেলতে কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের দলের সিঙ্গাপুরে যাওয়া হচ্ছে না । মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮-০২-২০২৩ তারিখ সিঙ্গাপুরে ফিফা টায়ার-১ ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অফ সিঙ্গাপুর উক্ত ম্যাচটি খেলার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এমতাবস্থায় আসন্ন মার্চ ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের মাটিতে সিঙ্গাপুর মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের সাথে ফিফা টায়ার ওয়ান এক ফ্রেন্ডলি ফুটবল ম্যাচে আয়োজনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বাফুফে। উক্ত ম্যাচ আয়োজনের বিষয় পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সাফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকের বাছাই পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলার বাঘিনীরা। আগামী ৩ থেকে ১১ এপ্রিলের মধ্যে বাছাইপর্বের ম্যাচে ইরান, নেপাল, মিয়ানমার ও মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলবে মারিয়া মাণ্ডা-কৃষ্ণা রানীরা।
এই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে বাফুফের ক্যাম্পে অনুশীলন করছে সাবিনারা। তবে ফেব্রুয়ারির উইন্ডোতে ফিফা দুটি ম্যাচে খেলার সুযোগ করে দিলেও তা খেলা হচ্ছে না মেয়েদের। এদিকে মার্চের উইন্ডোতে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাঘিনীদের। তবে সে সফর নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে ফুটবল পাড়ায়।
ওইদিন সংবাদ সম্মেলনে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটির অগ্রগতি নিয়ে বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান আরও বলেছিলেন, ‘এপ্রিলে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছে কম্বোডিয়া। আমরা বলেছি মার্চে আসতে। তারা যদি মার্চে আসতে পারে তাহলে বাংলাদেশেই দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।’