সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরবেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেকের সুষম ও পুষ্টিকর খাবার জোটে না। এর প্রভাবে ক্লাসে মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে শিক্ষার্থীরা। এর মূল কারণে পুষ্টিহীনতা। এর সমাধানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুষ্টিকর খাবার দেবে সরকার।
প্রাথমিকভাবে দেশের ৩০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাইলট প্রকল্প আকারে এটি চালু করা হবে। এ কর্মসূচির আওতায় ৩০০টি নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তরল দুধ পান করানো হবে।
দুধে রয়েছে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং পানি। শরীর গঠনে বিশেষ করে দাঁত ও অস্থিকে করে শক্তিশালী, মানসিক স্বাস্থ্য এবং মেধা বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে দুধ। মেধা ও স্বাস্থ্যসম্পন্ন জাতি গঠনে এর অবদান অপরিসীম। তাই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে নিরাপদ দুগ্ধজাত পণ্য প্রদশর্নী ও ভোক্তা সচেতনতা বাড়াতে প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী বেসরকারি উদোক্তাদের এতে সম্পৃক্ত করা হবে। প্রকল্প থেকে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণের অভ্যাস সৃষ্টি হবে, যা পণ্যের চাহিদা বাড়াতে ও সরবরাহ কাঠামোতে একটি উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলে দুধ বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন, ৫০টি স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে শুরুতে ২৫০ মিলিলিটার করে দুধ সরবরাহ করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই আরও ৩০০ স্কুলে সম্প্রসারণ করা হবে এ কার্যক্রম। এটা অত্যন্ত সহায়ক একটি ভূমিকা পালন করবে।