প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সর্বশেষ

ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে – ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের

চারদিন পর ক্যাম্পাসে ফিরলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। তবে সশরীরে স্বাভাবিক অবস্থায় নয়, লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে লাশ হয়ে চিরচেনা সেই ক্যাম্পাসে এসেছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তার মরদেহ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয় এবং বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক এবং ফারদিনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর তার মরদেহ সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, সে শনিবার পরীক্ষায় বসার কথা ছিল, কিন্তু পরীক্ষা দেয়নি। তারপরই আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলি এবং বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানিয়ে রাখি। বুয়েট পরিবারের জন্য এটা খুবই মর্মান্তিক একটা ঘটনা। প্রকৃত ঘটনা আমরা এখনো জানি না, পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে ফারদিন নূর ওরফে পরশকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ ফরহাদ।

চিকিৎসক শেখ ফরহাদ বলেন, ‘ফারদিনের পুরো মাথার বিভিন্ন অংশে আঘাত পাওয়া গেছে। বুকের ভেতরে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে আমরা বুঝতে পেরেছি, এটি অবশ্যই হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার সন্তানকে ফিরে পাব না। বিচার হোক, এটি আমরা চাই। মেধাবীদের ধরে ধরে হত্যা করা হচ্ছে, এটা বন্ধ হোক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *