খেলাধুলা

রেফারিদের বেতনের আওতায় আনার পরিকল্পনা বাফুফের

বাংলাদেশের ফুটবলকে ঘিরে বিতর্ক যেন একটি চলমান প্রক্রিয়া৷ গত বছর পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি তুলে ঘরোয়া ফুটবলে বেশ কয়েকবার খেলা পরিচালনা থেকে বিরত থেকেছেন রেফারিরা। কারণ, বাংলাদেশের ফুটবল রেফারিরা ম্যাচভিত্তিক পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। যার কারণে অনেক সময়েই আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়তে হয়। নতুন বছরে এসে এবার রেফারিদের বেতনের আওতায় আনার পরিকল্পনা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের।

বাফুফের অধীনে একজন স্থানীয় রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করলে প্রতি ম্যাচে পান ৫,৮০০ টাকা। আর ঢাকার বাইরে থেকে এসে ম্যাচ পরিচালনা করলে পান ১১,৪০০ টাকা। নতুন বছরেই বেতনের আওতায় আনা হবে তাদের। তবে শুরুতে বেশি না হলেও সর্বোচ্চ ১৫ জন রেফারিকে চাকরি দিতে যাচ্ছে বাফুফে।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বোর্ডের সর্বশেষ নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে শুরু করে পাইওনিয়ার লিগ পর্যন্ত খেলা পরিচালনা করা রেফারির সংখ্যা ৩০০’র মতো। পুরো দেশে সংখ্যাটা হাজার ছাড়াবে। এই রেফারিদের মধ্যে থেকেই বাফুফে নারীসহ ১৫ জন রেফারিকে চাকরি দিতে যাচ্ছে।

‘বিশ্বের অনেক দেশেই রেফারিদের চাকরি দেওয়ার রেওয়াজ আছে। এর মাধ্যমে রেফারিদের পারফরম্যান্স ভাল করার দায়বদ্ধতা বাড়বে। প্রতি চার মাস অন্তর রেফারিদের পারফম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে। তার ভিত্তিতে কারো গ্রেড উন্নতি হবে, কারো অবনতি হবে এবং কাউকে বাদও পড়তে হবে’ – বলেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।

‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ এই তিন ক্যাটাগোরিতে ভাগ করে রেফারিদের চাকরি দেবে বাফুফে। দেশে ১২ জন ফিফা রেফারি আছেন। যার মধ্যে দুই জন নারী। যেসব রেফারি কোথাও চাকরি করছেন তাদের বিবেচনায় আনবে না বাফুফে। জানা গেছে, বাফুফের রেফারিজ কমিটি ৫ জন নারীসহ ২০ জন রেফারির একটি তালিকা বাফুফেতে জমাও দিয়েছে। এখন বাফুফে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে।

বাফুফেতে নিয়োগ পাওয়া রেফারিরা খেলা না থাকলেও বেতন পাবেন। আবার খেলা পরিচালনা করলেও পাবেন আলাদা সম্মানি। তবে বেতনের আওতাভুক্তদের সম্মানি বেতনের বাইরে থাকাদের সম্মানির সমান হবে না।

উদ্যোগটিকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে একজন সিনিয়র রেফারি বলেছেন, ‘এটা দারুণ একটা উদ্যোগ। যারা চাকরি করবেন তারা সারা বছর বেতন পাবেন আবার ম্যাচ পরিচালনা করলে সম্মানিও পাবেন। এর মাধ্যমে রেফারিদের দক্ষতা বাড়বে বলে আমি মনে করি। ভালো করার একটা প্রচেষ্টাও থাকবে সবার।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *