যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ থাকলে তা পরিবর্তন করে ফেলতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনবিষয়ক নীতিমালা-২০২৩-এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নীতিমালাটি গত সোমবার প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনে চারটি কারণ বা যৌক্তিকতাকে বিবেচনাযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
- নীতিমালায় বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনে বিবেচনাযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু, নেতিবাচক এবং শিশুমনে ও জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে;
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দেশের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে নামকরণ হয়ে থাকলে;
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত আদালতের বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে এবং
- ভূমিকম্প, নদীভাঙনসহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ের নামের দ্বৈততা বা জটিলতা দেখা দিলে তা পরিহারের জন্য নাম পরিবর্তন বিবেচ্য হবে।
বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন কীভাবে হবে-
বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন কীভাবে হবে, তা–ও জানিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন—এমন ব্যক্তি বা বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে করা যাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম। তবে ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় একই উপজেলা, থানা বা সিটি করপোরেশনের হতে হবে। তাঁদের নামে একটির বেশি বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে না। তবে এ ধরনের ব্যক্তির মধ্যে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী, ফৌজদারি, দেওয়ানি ও দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্ত হলে তাঁদের নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ করতে হলে আদালত থেকে খালাসপ্রাপ্ত হতে হবে।
এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে এলাকার নাম অনুসারেও বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে। স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা সাপেক্ষে নাম পরিবর্তন বা নতুন নামকরণ করা যাবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সূত্র- প্রথম আলো