সমন্বিত গুচ্ছ পরীক্ষার পক্ষে মত দেওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কাদের।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম বিশেষ একাডেমিক কাউন্সিল সভায় অধ্যাপক আব্দুল কাদেরকে মারধরের অভিযোগ উঠে।
অভিযোগপত্রে অধ্যাপক আবদুল কাদের বলেন, সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যুক্তিতর্কের এক পর্যায়ে ৮-১০ জন শিক্ষক তাদের আসন থেকে উঠে এসে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। কিন্তু তাদের সবাই আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাটাক করেনি। এখন কেউ কেউ দাবি করছেন, যে এমন ঘটনা ঘটেনি। কারণ তারা সবাই আমাকে ফিজিক্যালি অ্যাসোল্ড করেনি। আশপাশে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের কারণে দূর থেকে দেখা যায়নি এখানে কী ঘটছে। সবাই শারীরিক নির্যাতনে অংশ নেয়নি।কয়েকজন পাশে ছিলেন, কিন্তু এর মধ্যে কেউ কেউ রোধ করেছেন। এর মধ্যেই ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভিসি স্যার ট্রেজারার স্যারও এটা শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। যা ঘটার তা ঘটে গেছে।
অভিযোগপত্রে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি টেবিল চাপড়ানো ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করি। সবাইকে বলেছি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য। এটাও বলেছি যে আমি টেবিল চাপড়িয়েছি তার মানে আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অধিকার কারো নেই। আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে। আপনারা আমার সাথে যা করেছেন তা ঠিক হয়নি। তারপর আমি বের হয়ে গিয়েছিলাম উপাচার্যের অনুমতি নিয়ে। পরবর্তীতে নিজে স্থির হওয়ার চেষ্টা করেছি ও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। উপাচার্যের নিকট আবেদন দিয়েছি এই ঘটনার প্রকৃত পক্ষে যারা দোষী তাদেরকেই যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। সেই সঙ্গে আমি ক্ষমা চেয়েছি একাডেমিক সভায়। এই শাস্তি যদি পর্যাপ্ত না হয় তাহলে বিধি মোতাবেক যে শাস্তি হবে তা মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। আর আমার ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তাদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যেন বিচার হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, এই ঘটনায় অধ্যাপক আব্দুল কাদের একটা অভিযোগ দিয়েছেন। রেজিস্ট্রারকে সেটা মার্ক করে দিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।