ইসলামে রমজান মাসের সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখা আবশ্যক। তবে ভ্রমণকালে রোজা না রাখার বিশেষ অবকাশ রয়েছে। চাঁদ দেখার ভিত্তিতে আগামী ২৩ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে। এরপর ২০-২৩ এপ্রিলের মধ্যে কোনো একদিন পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।
আমি চাইলে রোজা ভাঙতে পারব। তা ছাড়া স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও আহার করা যাবে।’ সেখানে সুযোগ পেলে রোজা রাখবেন এবং সহকর্মীদের সঙ্গে নিজের খাবার ভাগ করে নেবেন বলে জানান তিনি। তবে এ সময় নিজ পরিবারকে খুবই মনে পড়বে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
মহাকাশে রোজা পালন ও ইবাদত করতে চাইলে মহাকাশ স্টেশনে ব্যবহৃত সময় নির্ধারক সর্বজনীন সমন্বিত সময় (ইউটিসি) বা গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) পদ্ধতি কিংবা মক্কার সময় অনুসরণ করা যাবে।
এবারই প্রথম ড. আল-নিয়াদি মহাকাশে রমজানের রোজা পালন করবেন বিষয়টি এমন নয়; বরং আগেও অনেক মুসলিম মহাকাশে রমজানের রোজা ও নামাজ পালন করেছেন। ১৯৮৫ সালে সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান মহাকাশে গিয়েছিলেন। প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে তিনি মার্কিন মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। মহাকাশে যাত্রার দিন তিনি রোজা রেখেছিলেন। সেদিন ছিল রমজান মাসের শেষ দিন। তাঁর লেখা ‘সেভেন ডেইজ ইন স্পেস’ বইয়ে মহাকাশে থাকাকালে ইসলামী দায়িত্ব পালনের কথা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। তাতে তিনি যাওয়ার দিন সাহরি খাওয়া, উড্ডয়নের আগে নামাজ পড়া এবং মহাকাশে থাকাকালে রোজা রাখা ও পবিত্র কোরআন পাঠের কথা উল্লেখ করেছেন। পরদিন সৌদি আরব ঈদের দিনের ঘোষণা দিলে সুলতানের আমেরিকান সহযাত্রী জন ফ্যাবিয়ান তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। মহাকাশে সুলতান বিন সালমানের নামাজ আদায় ও কোরআন পাঠের ছবিও রয়েছে।