খেলাধুলা

ভারতকে ১০উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড

দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পাকিস্তান ফাইনালে ওঠার পরই সবার চাওয়া হোক ইন্দো-পাক ফাইনাল। সবার ছিল এক দাবি। কিন্তু পাকিস্তানের মেন্টর ম্যাথু হেইডেন বলছিলেন, তারা ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ থেকে প্রেরণা পাচ্ছেন। ওইবারও একইভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইমরান খানের দল এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ওইবার প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ৩০ বছর আগের সেই ম্যাচই আবার মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে।

ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের পার্টি নষ্ট করে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি করেছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। অ্যাডিলেডে বৃহস্পতিবার কথা রাখলেন। রোহিত শর্মাদের গুঁড়িয়ে ফাইনালে উঠালেন দলকে। হলো না ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। ১৩ নভেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ৬ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাটলার বুঝেশুনে। প্রথম থেকে ভারতকে চেপে ধরেছিল তারা। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে রান বের করে নেয় রোহিতের দল। বিরাট কোহলির ধীরস্থির ইনিংসের সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড় ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে। ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রান করেছিল ভারত।

জবাব দিতে নেমে কোন রকম ঝুঁকি না নিয়েই খেলতে থাকেন ইংল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জশ বাটলার। বাউন্ডারি হাঁকানোর সঙ্গে সিঙ্গেলস ও ডাবলসে প্রয়োজনীয় রান রেটের চেয়ে দ্রুতগতিতে পাল্লা দিচ্ছিলেন তারা। ভারতের বোলাররাও কোনো রকম হুমকি হতে পারেননি দুই ব্যাটারের জন্য।

শেষ অবধি দলকে জিতিয়েই মাঠে ছাড়েন তারা। গড়েন অবিশ্বাস্য ১৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি। এর মধ্যে হেলস ৪ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৭ বলে ৮৬ রান করে ও বাটলার ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৯ বলে বলে ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানোর আনন্দে মাতে ইংলিশরা, হৃদয় ভাঙে ভারতের।

২০১০ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। ছয় বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে রানার্সআপ হয় তারা। দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে তারা তৃতীয় ফাইনাল খেলবে পাকিস্তানের সঙ্গে। সবকিছু যেন হচ্ছে ৯২-এর মতো, এবার ইংল্যান্ড চাইবে সেই আগের হিসাব চুকাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *