প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ব বিদ্যালয়

বুয়েট অধ্যাপক নিখিলের অব্যাহতির কারণ দর্শানোর নির্দেশ আদালতের

২০২১ সালের নভেম্বরে ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে কেন ও কীভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে—কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে আদালতে হাজির হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ বাড্ডা থানার মামলা থেকে নিখিল ধরকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, নিখিল ধর দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে প্রশ্নপত্রের কপি পাননি। দেলোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দেলোয়ারের জবানবন্দি যাচাই-বাছাই করে প্রশ্নফাঁসে অধ্যাপক নিখিল ধরের জড়িত থাকার প্রমাণ বা অভিযোগ পাননি।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১২ জনের বিরুদ্ধে দু’টি চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অধ্যাপক নিখিলের নাম আসে।

২০২১ সালের ২১ নভেম্বর শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান পদ এবং পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় পাঁচ ব্যাংকার এবং আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। দেলোয়ারসহ আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

৬ নভেম্বর আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাটির আয়োজন করে। এ পরীক্ষা শেষের আগেই উত্তরসহ প্রশ্নছড়িয়ে পড়ে। পরে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

সূত্র : টিডিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *