পাবনার সুজানগর উপজেলার কামারহাটে সম্পন্ন হয়েছে চঞ্চল চৌধুরীর বাবা গোবিন্দ চৌধুরীর শেষকৃত্য। এখানেই দেশের বাড়ি অভিনেতার। বাবার মৃত্যুতে ব্যাপক ভেঙে পড়েছেন চঞ্চল।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যান তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি।
এবার বাবাকে হারিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন চঞ্চল। আজ (২৯ ডিসেম্বর) সকালে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘২৭ ডিসেম্বর রাতে, বাবা আমাদের সকলের মায়া-মমতা ত্যাগ করে, ইহলোক ত্যাগ করে চলে গেল পরলোকে।
গতকাল নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাবা মিশে গেলেন এই গ্রামেরই আলো বাতাসে,পদ্মার জলে।’
নির্ঘুম রাতের কথা জানিয়ে চঞ্চল বলেন, “সারা রাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সারা বাড়িময়, ঘরময় যেন বাবা গুটি-গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে। এই বুঝি কখন আমায় ডাক দিয়ে বলবে, ‘চঞ্চল…বাবা ঘুমাইছো?’ বাবার কোনও কথা আর কোনও দিন কানে বাজবে না, বাবাকে দেখতে পাবো না, এগুলো কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”
চঞ্চল জানান, তার বাবা শীত সকালে যে শাল পরতেন, যেখানে বসে রোদ পোহাতেন, সেখানে বসেই কথাগুলো বলছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘যখন এই কথা গুলো লিখছি, শীতের এই সকালে, বাবার শালটাই আমার শরীরে জড়ানো। যে জায়গায় রোদে বসে আছি, এ জায়গায় বসেই বাবা রোদ পোহাতো। রোদের উষ্ণতা নয়, বাবার শরীরের কোমল উষ্ণতা খুঁজে ফিরছি এখন, বাকি জীবনটা হয়তো এভাবেই খুঁজতে হবে।’
এর আগে বাবাকে নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছিলেন, কয়েক দিন ধরে বাবা হাসপাতালের বিছানায় অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। চোখের জলে আমাদের বুক ভেসে যাচ্ছে। প্রার্থনা করি, আমার বাবা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। বাবা-মাকে হাসপাতালের বিছানায় রেখে কোনো সন্তানই কখনও ভালো থাকতে পারে না। আমিও ভালো নেই।