বগুড়ার সোনাতলায় এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে হৃদয় আহম্মেদ (৩২) নামের এক ভুয়া শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে যোগসূত্র এবং সঙ্গে স্মার্ট ফোন থাকায় ওই কেন্দ্রের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তারা হলেন- বগুড়ার আব্দুল মান্নান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোছা. আরজিনা জাহান ও বগুড়ার ভিকোনেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুমারী শ্রাবন্তী রানি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সোনাতলা পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদা পারভিন ওই ভুয়া শিক্ষককে আটক করেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়
আটক হৃদয় আহম্মেদ সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের ছায়েদ মন্ডলের ছেলে।
ইউএনও সাইদা পারভিন জানান, পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সন্দেহজনকভাবে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শিক্ষক পরিচয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন বলে জানান। এ সময় তার কাছে থাকা স্মার্ট ফোনে একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ দেখা যায়। ওই গ্রুপে শতাধিক পরীক্ষার্থী সদস্য যুক্ত রয়েছে।
ইউএনও আরও জানান, মেসেঞ্জার গ্রুপে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রের আরও দুই ছাত্রী সংযুক্ত থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল। দুই ছাত্রীকে শনাক্ত করে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তাদের বহিষ্কার করা হয়।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব মোনারুল ইসলাম জানান, আটক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।