সর্বশেষ

‘ফুড ফর গুড’ এর হাজারতম দিনপূর্তি উপলক্ষ্যে সহস্রাধিক মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ

দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সেবা করার লক্ষ্যে ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করে সামাজিক সংগঠন ‘ইউনিভার্সাল এমিটি’ । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগঠনটি অসহায়,দুঃস্থ,সুবিধাবঞ্চিত এবং ক্ষুধার্ত মানুষদের সেবাদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তেমনি একটি পরিচালিত কার্যক্রম হলো “ফুড ফর গুড”। যার মাধ্যমে ছিন্নমূল মানুষদের কাছে একবেলা পৌঁছে দেওয়া হয় ভালো খাবার। ইতোমধ্যেই এই কার্যক্রমের মাধ্যমে লক্ষাধিক অনাহারীর মুখে তুলে দেওয়া হয়েছে খাবার।

আজ রবিবার (১২ মার্চ) কার্যক্রমটির এক হাজার তম দিন পূর্তি উপলক্ষে সংগঠনটি রাজধানীর মিরপুর-১ এর ঈদগাহ মাঠে বিনামূল্যে ছিন্নমূল ক্ষুধার্ত মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরনের আয়োজন করে। দুঃস্থ ও ক্ষুধার্ত পথশিশু,বৃদ্ধ এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রায় তিনশতাধিক মানুষের মধ্যে এই খাবার বিতরন করা হয়।

এর আগে কার্যক্রমটির হাজারতম দিনের মাইলফলক অর্জন করায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের এক হাজার অসহায়-এতিম শিশুদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করে সংগঠনটি।

আয়োজন উপলক্ষে সংগঠনটির কার্যক্রমের প্রশংসা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা প্রদান করেছেন বিউবিটির মাননীয় প্রো-ভিসি জনাব প্রফেসর ড. আলী নূর।

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সংগটনটির প্রতিষ্ঠাতা,সেচ্ছাসেবী, শুভাকাঙ্খীবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ আরো অনেকে। উপস্থিত অতিথিগন “ইউনিভার্সাল এমিটি” এর সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন, পাশাপাশি সংগঠনটির এহেন কার্যক্রমের বিস্তার এবং প্রসারের গুরুত্বারোপ করেন।

আয়োজনে অংশগ্রহন করে ‘লিডবার্গ গ্রুপ’ এর চেয়ারম্যান জনাব রাকিব হাসান বলেন, “ইউনিভার্সাল এমিটি একটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ‘ফুড ফর গুড’ কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা দুঃস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে ভালো খাবার। নিবারণ করতে পেরেছে অনাহারীর পেটের যন্ত্রনাকে। তাদের এই কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয় ও অনুপ্রেরনাদয়ক। ”

সংগঠনটির এই কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ” ইউনিভার্সাল এমিটির প্রত্যেকটি সেচ্ছাসেবী আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যার যার অবস্থান হতে সামর্থ্যানুযায়ী এধরনের কার্যক্রমে অংশীদার হওয়া। পাশাপশি বিত্তবানদের প্রতি আমার আহ্বান তারা যেন এই ধরনের মানবসেবামূলক কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এগিয়ে আসে। যাতে করে প্রত্যেক অনাহারীর মুখে আমরা তুলে দিতে পারে একমুঠো খাবার। “

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *