সর্বশেষ

নারায়ণগঞ্জ থেকে বুয়েট ছাত্রের লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের লাশ উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ নৌ-থানা পুলিশ। সোমবার (০৭ নভেম্বর) তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরশের বাবা নুরউদ্দিন রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফারদিন নূর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ১৮তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকার কাজী নূরউদ্দিনের ছেলে। তবে তাঁরা বর্তমানে রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া শান্তিবাগ এলাকায় বাস করতেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি গত ৪ নভেম্বর বিকেল তিনটার দিকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। ৫ নভেম্বর সকাল ১০টায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষায়ও অংশ নেননি তিনি। তার গ্রামের বাড়ি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার নয়ামাটি গ্রামে। বর্তমানে তারা রাজধানীর ডেমরার শান্তিবাগের ১৩/১২ নম্বর বাসায় থাকতেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ৪ নভেম্বর ফারদিন নূর নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিখোঁজের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রাজধানীর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ফারদিনের চাচা নাবিল চৌধুরী জানান, নিখোঁজের দিন রাত ১০টার দিকে তাকে সর্বশেষ রাজধানীর রামপুরা এলাকায় দেখা গেছে। এরপর ১১টা থেকে তার ব্যক্তিগত ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো।

জিডিতে কাজী নূরউদ্দিন উল্লেখ করেন, ৪ নভেম্বর ফারদিন কোনাপাড়ার বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হয়ে যান। শুক্রবার হলে থেকে শনিবার পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। পরবর্তী সময়ে জানতে পারেন, ফারদিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। ছেলের মুঠোফোন নম্বরে তাঁরা যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

ফারদিনের চাচা নাবিল চৌধুরী জানান, আজ সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানা পুলিশ ফোন করে জানায় সেখানে একটি লাশ পাওয়া গেছে। পরে আমরা গিয়ে তার লাশ শনাক্ত করি।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহটি অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা-পুলিশ আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। পরে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *