বিনোদন

‘নায়িকা হওয়ার চেয়ে মহেশের স্ত্রী হতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি ’

‘প্রিন্স অব টলিউড’খ্যাত অভিনেতা মহেশ বাবু। পর্দায় অসাধারণ অভিনয় এবং অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব গুণের কারণে অসংখ্য ভক্ত তার। এর মধ্যে নারী ভক্তের সংখ্যাও কম নয়। তবে গত দুই দশক ধরে মহেশের মনের রানি হয়ে আছেন তার স্ত্রী নম্রতা শিরোদকর।

নম্রতা একাধারে— মডেল ও অভিনেত্রী। তবে অভিনয় থেকে অনেক আগে সরে গেছেন তিনি। কারণ কাজের চাপে সংসার এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। তৈরি হয়েছিল মহেশ-নম্রতার দূরত্ব। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে সংসার জীবনে দারুণ সময় পার করছেন এই যুগল।

সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে স্বামীর বিষয়ে কথা বলেন নম্রতা। মহেশ বাবুর সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা ব্যাখ্যা করে নম্রতা বলেন—‘মহেশ ও আমি পরস্পরকে পরিপূর্ণভাবে জানি। পৃথিবীর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ ছাড়াই অন্য কোথাও দিনের পর দিন একসঙ্গে কাটিয়ে দিতে পারি।’

মডেলিং ক্যারিয়ারে বেশ ভালো সময় পার করছিলেন নম্রতা। ১৯৯৩ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া’ বিজয়ী হন। এরপর ভারতের হয়ে ‘মিস ইউনিভার্স’ আসরে প্রতিনিধিত্ব করে পঞ্চম হন। তারপর বেশ কয়েকটি মডেলিং প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করেন তিনি।

১৯৯৮ সালে সালমান খান ও টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে ‘জব প্যায়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন নম্রমতা। ‘ভামসি’ তার প্রথম তেলেগু সিনেমা। এর আগে কয়েকটি হিন্দি ও দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন নম্রতা।

অর্ধযুগের অভিনয় ক্যারিয়ারে ২৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল একটি ক্যারিয়ার ছিল তার। কিন্তু অভিনয় থেকে নিজেকে পুরোপুরি সরিয়ে নেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করে এই অভিনেত্রী বলেন—‘একজন নায়িকা হওয়ার চেয়ে মহেশ বাবুর স্ত্রী হতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *