সর্বশেষ

দেশে প্যারেন্টিংয়ের কোর্স থাকা উচিত : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

দেশে প্যারেন্টিংয়ের কোর্স থাকা উচিত জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কিছুদিন আগে এক মা আমাকে বললেন, দেশে গরু, হাঁস, মুরগির খামার হয়। এগুলো লালন-পালন শেখানো হয়। কিন্তু প্যারেন্টিং কেন শেখানো হয় না? আমি ভেবে দেখলাম বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমরা ভাবছি।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হোটের সোনারগাঁওয়ে একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ইউনেস্কো গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষায় বেসরকারি খাতের ভূমিকা-সংক্রান্ত গবেষণা করেছে। এতে সহযোগী হিসেবে রয়েছে ব্র্যাক। প্রতিবেদনটি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রকাশ করা হচ্ছে। এই গবেষণা প্রতিবেদনটি আজ প্রকাশ করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা নিয়ে গবেষণায় ওঠা নানা প্রশ্নের জবাব দেন। জাতীয়করণের বিষয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, জাতীয়করণ আমরা করব কি না এটা একটা সিদ্ধান্তের বিষয়। যেসব প্রতিষ্ঠানে জাতীয়করণ হয়েছে সেগুলো শিক্ষার মান কী রকম তা বিবেচনা করে দেখতে হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রাইমারির সুন্দর অবকাঠামো আছে। কিন্তু অভিভাবকরা বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেনে দেন। যেখানে দেওয়া শিক্ষকের কোনো মান থাকে না। ২০১৮ সালে আমাদের ইশতেহার ছিল শিক্ষার মান উন্নয়ন। আমরা নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করছি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাকে গড়ে তোলার চেষ্টা করব। এখন মুখস্ত বিদ্যা ও পরীক্ষা ভীতি থাকবে না। শিক্ষার্থীরা খুশিমনে শিখবে। শিশু যা শিখবে তা প্রয়োগও করতে পারবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি। শিক্ষকদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরপর বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সাথে সারাবছর প্রশিক্ষণের আওতায় নেয়া হবে।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুজন শিক্ষক প্রশিক্ষিত থাকবে। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৩০ হাজার শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা নানা ধরনের ক্লাব অ্যাকটিভিটি বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেমন বিতর্ক, দাবা ইত্যাদি। আমরা মনিটরিয়ের জন্য ইউনিক আইডি প্রস্তুত করছি। আশা করছি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউনিক আইডি হয়ে যাবে।

এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, মাউশির অধীনে প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ২০ হাজার। যার মধ্যে ১৭ হাজার এমপিও হয়েছে। যারা এমপিওভুক্ত হয়েছেন তারা এই মানটা ধরে রাখবেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে।

ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার দুটি মন্ত্রণালয় হলেও আমরা একসাথেই কাজ করছি। আমরা কীভাবে একটা শিশুকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব সেদিকে খেয়াল রেখেছি। কারিকুলাম তৈরিতে সমন্বয় রাখা হচ্ছে।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. মঞ্জুর আহমেদ, ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *